খোলা বাজার২৪ ॥ সোমবার, ২৩ নভেম্বর ২০১৫: সোমবার বিপিএলে ম্যাচ শুরুর আগেই বেশ খানিকটা ক্ষুব্ধ মনে হয়েছিল তামিম ইকবালকে। এর পেছনের কারণটা কি? শুধু প্রতিপক্ষ সিলেট সুপারস্টার্সের দুজন খেলোয়াড়ের টিম লিস্টে না থাকার বিষয়টাই জড়িত ছিল এতে? স্বাভাবিকভাবেই তামিমের কাছে জানত চাওয়া হয়েছিল এর উত্তর। ম্যাচশেষে সংবাদ সম্মেলনে তামিম ইকবাল যা বলেছেন, তা রীতিমতো বিস্ময়কর। সিলেট সুপারস্টার্স দলের একজন কর্মকর্তা নাকি মাঠে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের ড্যাশিং ওপেনার ও চিটাগাং ভাইকিংসের অধিনায়ক তামিমকে । জাতীয় দলের একজন ক্রিকেটার হিসেবে এ নিয়ে চরম হতাশা প্রকাশ করে বিসিবির কাছে অভিযোগ করার কথাও জানিয়েছেন তামিম।
সোমবার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) মুখোমুখি হয়েছিল তামিমের দল চিটাগাং ভাইকিংস ও মুশফিকুর রহিমের দল সিলেট সুপারস্টার্স। এই ম্যাচের শুরু থেকেই দেখা দিয়েছিল বিভিন্ন সমস্যা। শেষ অব্দি যদিও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে ১ রানে জয় পেয়েছেন তামিমরা।
ম্যাচের হার-জিতের চেয়ে স্বাভাবিকভাবেই মাঠের জটিলতা নিয়ে প্রশ্ন ছিল ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে। তামিম অবশ্য খুলাখুলিই সেই বিষয়ে উত্তর দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘কেউ টাকার মালিক হলেই যে জাতীয় দলের একজন খেলোয়াড়ের সঙ্গে এমন আচরণ করবে; তা ভাবতেও পারছি না। একজনের টাকা থাকতে পারে। তাই বলে ভিক্ষুক আর জাতীয় দলের খেলোয়াড়ের সঙ্গে একরকম আচরণ করা হবে। আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকরা তো আরো অনেক টাকার মালিক। আমি আইপিএলে খেলিনি, তবে দলে ছিলাম। সেখানে জাতীয় দলের একজন খেলোয়াড়কে যে পরিমাণ সম্মান দেওয়া হয় তা ভাবাই যায় না। সেখানে আমাকে মাঠে পরিবার তুলে গালাগালি করা হয়েছে।’
তামিম সরাসরি না বললেও জানা গেছে সিলেট সুপারস্টার্সের স্বত্বাধিকারী আলিফ গ্রুপের স্বত্বাধিকারী আজিজুল ইসলাম শাহেদই তামিমের সঙ্গে এমন আচরণ করেছেন। একাধিক সূত্রে বিষয়টি জানা গেছে। এই ঘটনার জন্য তামিম বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) টেকনিক্যাল কমিটির কাছে লিখিত আবেদন করবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
পরে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের টেকনিক্যাল কমিটির দায়িত্বে থাকা বিসিবির পরিচালক ও মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুসের কাছে এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। জবাবে তিনি বলেছেন, ‘আমাদের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ এসেছে। এমনটি হয়ে থাকলে তা ক্রিকেটের জন্য নেতিবাচক একটা দৃষ্টান্ত। তখন মাঠে ম্যাচ রেফারি মাঠে ছিলেন। এ ছাড়া আকসুর পক্ষ থেকে একজন মেজর ছিলেন। তাদের কাছ থেকে আমরা পুরো ঘটনা শুনব। এরপর অবশ্যই আমরা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেব।’
মাঠে কি ঘটেছে তা নিয়ে অবশ্য সিলেট অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম মুখ খুলতে চাননি। এ বিষয়ে জানতে তিনি বিসিবি, বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল ও তার ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকদের সঙ্গে কথা বলার অনুরোধ করেছেন।