খোলা বাজার২৪ ॥ মঙ্গলবার, ২৪ নভেম্বর ২০১৫: বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মৃত্যুদণ্ড ক্ষমা করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি দিয়েছিলেন পাকিস্তানের রাজনৈতিক দল তেহরিকে ইনসাফ বা পিটিআই নেতা ইমরান খান। একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী এবং জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আগে এ চিঠি দেয়া হয়েছিল। শনিবার রাতে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
চিঠিতে পিটিআই প্রধান ইমরান খান দাবি করেছিলেন, এ মৃত্যুদণ্ড কার্যকর না করলে তাতে দক্ষিণ এশিয়ার স্বার্থ রক্ষার পাশাপাশি বিশ্বে শান্তি ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা সহজ হবে। এ ছাড়া, মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ১৯৭১ সালে পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেছেন বলে যথেষ্ট সাক্ষ্যপ্রমাণ উপস্থাপন করা হয়েছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করেন ইমরান খান। তিনি বলেন, তাই মামলায় বর্ণিত অপরাধ করার কোনো অবকাশই সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছিল না।
এদিকে, মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকরের ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়ে পাকিস্তান হাই কমিশনের ওয়েবসাইটে রোববার এক বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়, ‘আমরা গভীর উদ্বেগ ও বেদনার সঙ্গে লক্ষ্য করেছি, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের ফাঁসির রায় দুর্ভাগ্যজনকভাবে কার্যকর করা হয়েছে। এ ঘটনায় পাকিস্তান গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।’ বাংলাদেশে ‘ত্রুটিপূর্ণ’ বিচারের কারণে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে বলেও বিবৃতিতে দাবি করা হয়।
এ বিবৃতির কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ। সোমবার পাক হাইকমিশনারকে ঢাকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে ওই প্রতিবাদ জানায় বাংলাদেশ।ওই দিনই মন্ত্রিসভার বৈঠকে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব নজরুল ইসলামকে পাকিস্তানের বিবৃতির একটি কড়া প্রতিবাদ পাঠাতে নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি সচিবকে উদ্দেশ করে বলেন, তারা কিভাবে এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানালো তার ব্যাখ্যা চাইতে হবে এবং এর প্রতিবাদ করতে হবে। মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে উপস্থিত সূত্রের বরাত দিয়েবাংলাদেশের গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত খবর প্রকাশিত হয়।