খোলা বাজার২৪ ॥ বৃহস্পতিবার, ২৬ নভেম্বর ২০১৫ : ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চার লেন নির্মাণের সুফল চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে দেশের অর্থনীতিতে পড়তে শুরু করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ১৯২ কিলোমিটার সড়কের ১৫৮ কিলোমিটার নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। কনক্রিট বেইসমেন্ট সম্পন্ন হয়েছে ১৬৮ কিলোমিটার। আজ বুধবার চার জাপানি কম্পানির সঙ্গে মহাসড়কের দ্বিতীয় কাঁচপুর, দ্বিতীয় মেঘনা ও দ্বিতীয় গোমতী সেতু নির্মাণ প্রকল্পের চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আশা করছি এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই এই মহাসড়কের সুফল দেশের জনগণ, যাত্রী এবং আমাদের দেশের অর্থনীতিতে পড়তে শুরু করবে। এর মাধ্যমে আমাদের কানেক্টিভিটি অনেক দূর এগিয়ে যাবে।
তবে প্রকল্পের শেষ পর্যায়ে এসে ‘পাথর সংকটের’ কথাও জানান সেতুমন্ত্রী। তিনি বলেন, ইদানিং আমরা পাথর সংকট তীব্রভাবে অনুভব করছি। এটি আমাদের কিছুটা সমস্যায় ফেলেছে। আশা করি, শীঘ্রই সংকটের সমাধান হয়ে যাবে।
মহাসড়কের শীতলক্ষ্যা, মেঘনা ও গোমতি নদীর উপর নতুন তিনটি সেতু নির্মাণ ও বিদ্যমান সেতুর সংস্কার করতে জাপানি চার ঠিকাদারি কম্পানির সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরের পর এ ঘটনাকে বাংলাদেশের সড়ক যোগাযোগ ও পরিবহন ব্যবস্থার জন্য ‘ঐতিহাসিক মাইলফলক’ হিসেবে উল্লেখ করে করেন সেতুমন্ত্রী। তিনি বলেন, আপনারা জানেন যে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কটি আমাদের দেশের অর্থনীতিতে রক্ত সঞ্চালন করে। এই মহাসড়কে এ তিনটি সেতু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি আরো বলেন, বিদ্যমান সেতু তিনটির পাশে নতুন তিনটি সেতু নির্মাণ, বিদ্যমান সেতুগুলো পুর্নবাসনের কাজও আমরা করব। এর পাশাপাশি কাঁচপুর ইন্টার সেকশনে একটি ফ্লাইওভার নির্মাণ হবে।
ওবায়দুল কাদের জানান, এ প্রকল্প বাস্তবায়নের খরচ হিসেবে সাড়ে আট হাজার কোটি টাকা ধরা হয়েছে, যার মধ্যে জাপান সরকার সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকা দিচ্ছে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের দেওয়া তথ্য অনুসারে জানা গেছে, এ প্রকল্পে ডিসেম্বরে নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে শেষ হবে ২০১৯ সালের অক্টোবরে।