Sat. May 3rd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

40খোলা বাজার২৪ ॥ বৃহস্পতিবার, ২৬ নভেম্বর ২০১৫ : উইকেট নিতে এত আহা উঁহু কেন? নাগপুর টেস্ট শুরুর আগে এমনই প্রশ্ন ছিল বিরাট কোহলির। কোহলি কি সত্যিই অবাক? নাকি জেনে-বুঝেই না-বোঝার ভান করছেন? ভারত বরাবরই নিজেদের হোম কন্ডিশনের সুবিধা নিতে স্পিনিং উইকেট বানিয়েছে। সব দেশই নিজেদের কন্ডিশনের সুবিধা নেয়। কিন্তু তাই বলে এতটা মরিয়া, এতটা ‘নির্লজ্জ’ভাবে হোম কন্ডিশনের সুবিধা নেওয়া হবে!
এমন প্রশ্নই উঠে গেছে আজ দক্ষিণ আফ্রিকা মাত্র ৭৯ রানে অলআউট হওয়ার পর। টুইটের বন্যা বয়ে যাচ্ছে। কলম ধরেছেন ওয়াসিম আকরাম আর জ্যাক ক্যালিসের মতো সাবেকরাও।
আজ দিনের প্রথম ঘণ্টাতেই ৯ উইকেট পড়ে যাওয়ার দিকে ইঙ্গিত করে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল টুইট করেছেন, ‘এই উইকেট রীতিমতো নারকীয়।’ ম্যাথু হেইডেনের টুইট, ‘টেস্ট ক্রিকেটের মান এত নিচে নেমে যাওয়ার যে ঘটনার সাক্ষী আমরা হচ্ছি, সেটা বিরাট হতাশার।’ অবশ্য হেইডেনকে পাল্টা টুইট করে জানতে চাওয়া হয়েছে, তিনি ​টেস্ট ক্রিকেটের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন, নাকি উইকেটের? এমন উইকেট হলে টেস্ট ম্যাচ পাঁচ দিনের বদলে তিন দিনে আয়োজন করা যায় কিনা, এমন ব্যঙ্গাত্মক ভাবনাও তুলে দিয়েছেন কেউ কেউ।
নাগপুরের এই উইকেটকে কেউ বলছেন মুম্বাইয়ের জুহু বিচ। কেউ বলছে আখড়া। সমুদ্র সৈকতের বালিয়াড়ি কিংবা ভারতের কুস্তি লড়াইয়ের ধুলো মাটিতে লড়াইয়ের মঞ্চে সঙ্গে তুলনা—ভারতের টেস্ট অধিনায়ক কোহলি হয়তো প্রশ্ন তুলবেন আবার!
টাইমস অব ইন্ডিয়ায় ওয়াসিম আকরাম তাঁর কলামে একটা ভালো পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁর মতে, নিরপেক্ষ আম্পায়ারের মতো টেস্টে নিরপেক্ষ কাউকে দিয়ে উইকেট বানানোর নিয়মও চালু করা উচিত, ‘আইসিসির উচিত বিশ্বজুড়ে টেস্ট ম্যাচের উইকেটগুলো বানানোর দায়িত্ব নেওয়া, না হলে (শাস্তি হিসেবে) পয়েন্ট কেটে নেওয়ার নিয়ম করা, যেটা দলগুলোর র‍্যা​ঙ্কিংয়ে প্রভাব ফেলবে। তা না হলে আমরা এমন আখড়া পেতেই থাকব, যেখানে বল ব্যাটেই আসে না।’
ভারতের আরেক প্রভাবশালী দৈনিক হিন্দুতে ক্যালিস লিখেছেন, ‘একজন স্পিনারকেই প্রশ্ন করে দেখুন না, সে কি ৪০০-র মতো রান হয় এমন ভদ্রস্থ উইকেটে বল করতে চায় নাকি, মাত্র ২০০ ওঠে এমন উইকেটে, যে উইকেটে বল করার সময় একেকটা রান নিয়েও তাকে উদ্বেগে থাকতে হবে। আমার তো মনে হয়, বেশির ভাগই প্রথমটাই বেছে নেবে।’
ক্যালিসের কথায় যুক্তি আছে। এমন উইকে​ট পেলে স্পিনাররা আহ্লাদে নয় খানাও হয়ে যেতে পারে। কিন্তু স্পিনারকে এটাও মাথায় রাখতে হবে, এমন উইকেটে তার নিজের দলও তো ব্যাটিং করবে। তাই রান দেওয়া চলবে না কিছুতেই!
তবে সবাই যে সমালোচনা করছে, তাও নয়। দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার রবিন পিটার পিটারসন বরং সেই প্রশ্নটা তুলছেন, আধুনিকালের রথী-মহারথী ব্যাটসম্যানরা কেন একটু কঠিন পরীক্ষা হলেই ফেল মেরে যান? তাঁর টুইট, ‘এটাকে এ জন্যই টেস্ট ক্রিকেট বলা হয়, যেখানে আপনাকে আপনার স্কিল আর ভিন্ন ভিন্ন অনেক কিছুরই পরীক্ষা দিতে হবে।