খোলা বাজার২৪ ॥ বৃহস্পতিবার, ২৬ নভেম্বর ২০১৫ : জাপানি নারী হিরোয়ি মিয়াতার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে উত্তোলনের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম শেখ হাফিজুর রহমান এ নির্দেশ দেন।
একজন জেলা নির্বাহী হাকিমের উপস্থিতিতে ওই নারীর তার লাশ উত্তোলনের আদেশ দেন আদালত।
আদালত সুত্রে জানা যায়, তদন্তের স্বার্থে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওই নারীর লাশ উত্তোলনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ চেয়ে আদালতে আবেদন করেন। ওই আবেদেনের প্রেক্ষিতে আদালত এ আদেশ দেন।
আদালতের আদেশে বলা হয়েছে, ফৌজদারি কার্যবিধি মোতাবেক একজন জেলা নির্বাহী হাকিমের উপস্থিতিতে তার লাশ উত্তোলনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হোক।
প্রসঙ্গত, গত ১৯ নভেম্বর জাপানের নাগরিক হিরোয়ি মিয়াতার নিখোঁজের ঘটনায় জাপান দূতাবাসের ভাইস কনস্যুলেটর কসুকি মাতসুনাগা থানায় একটি জিডি (নম্বর-৯৩৫) করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২২ নভেম্বর দিবাগত মধ্যরাতে উত্তরা পূর্ব থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) মিজানুর রহমান একটি মামলা করেন।
জিডির বিষয়ে তদন্তও করেন তিনি। তদন্ত করতে গিয়ে তিনি জানতে পারে- জাপানি নারীকে অপহরণ করে হত্যার সঙ্গে ছয়জন জড়িত। এরা জাপানি নারীর নাম-পরিচয় গোপন করে তাকে দাফন করেছে।জাপানের নাগরিক হিরোয়ি মিয়াতা উত্তরার আজমপুর পুলিশ ফাঁড়ির কাছে সিটি হোমস আবাসিক হোটেলে কয়েক বছর ধরে বাস করছিলেন। তিনি ছিলেন ট্যুরিস্ট গাইড। জাপানিরা বাংলাদেশে এলে তাদের সহযোগিতা করতেন মিয়াতা।
তার সঙ্গে দীর্ঘদিনের পরিচয়ের সূত্র ধরে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের জাকির পাটোয়ারি রতন (৪২) ও যশোরের অভয়নগরের মারুফুল ইসলাম মারুফ (৩০) ওই হোটেলে মিয়াতাকে দেখভাল করতেন। জাকির ও মারুফ অনেক আগে থেকেই উত্তরায় বাস করছেন। এ ছাড়া রাশেদুল হক বাপ্পি নামে তাদেরই এক সহযোগী ওই আবাসিক হোটেলে গিয়ে মিয়াতার সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ করতেন।
এজাহারে আরো উল্লেখ করা হয়, গত ২৬ আগস্ট বিকেল ৫টার দিকে জাকির, মারুফ ও বাপ্পি মিলে পরস্পর যোগসাজসে মিয়াতাকে কৌশলে অপহরণ করে ভাটারা থানাধীন একটি বাসায় আটকে রাখে। ফখরুল ইসলাম মিয়াতাকে আটকে রাখার জায়গা দিয়ে সহযোগিতা করেন। এর পর মিয়াতাকে দিয়ে তার আত্মীয়-স্বজনদের কাছে কৌশলে টাকা নিয়ে দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। প্রায় দুই মাস তাকে সেখানে আটকে রাখা হয় বলে পুলিশ জানতে পারে।