খোলা বাজার২৪ ॥ বৃহস্পতিবার, ২৬ নভেম্বর ২০১৫ : জঙ্গী আতঙ্কের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে বিমান যাত্রায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন সেখানকার মুসলিম বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার বার্তা সংস্থা আল-জাজিরা এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
কামেলা রাশেদ নামের নিউইয়র্কের এক মুসলিম নারী ছুটি কাটাতে তুরস্কের ইস্তাম্বুলগামী ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের বিমানে টিকিট করে। নিউইয়র্কের লিবার্টি ইন্টারন্যাশনাল বিমানবন্দরে কামেলার দীর্ঘ কাস্টমস চেকিং সম্পন্ন হলে বিমানের উঠেন। মনে হয়েছিল দুর্ভোগ বুঝি এখানেই শেষ। কিন্ত না বিমান টেক অফের আগ মুহূর্তে এক এফবি আই এজেন্ট তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিমান থেকে জোর করে নামিয়ে আনে।
এরপর কামেলাকে সারাদিন বিমানবন্দরে আটকে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সেদিনের বিমান যাত্রা বাতিল করে তার পাসপোর্ট জব্দ করে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। পরে কামেলাকে অন্য বিমানের টিকিট ধরিয়ে দেয়া হয়। এভাবে সেদিন নিজের বিড়ম্বনার কথা বললেন, কামেলা রাশেদ।
মুসলিম ও হিজাব থাকার কারণে তার সঙ্গে এমন আচরণ করা হয়েছে বলে তিনি মনে করেন। ২৪ নভেম্বর মঙ্গলবার এ ঘটনা ঘটে।
বুধবার আল-জাজিরাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ৩০ বছর বয়সী এই নারী এসব বলেন। যুক্তরাষ্ট্র এখন একটি সামরিক দেশ হয়ে গেছে মুসলিমদের জন্য। মুসলিমদের দেখে আতঙ্কগ্রস্ত হন এখানকার মানুষজন। প্যারিস ঘটনার পর থেকে এই ভোগান্তি আরও বেড়ে গেছে।
কামেলাকে জিজ্ঞাসা করা হয়, বিমানবন্দরে তাকে কাস্টমস কি বলেছে? উত্তরে কামেলা বলেন, একই ধরনের প্রশ্ন বার বার করা হয় যা চরম বিরক্তিকর। যেমন তিনি কেন বিমানে যাচ্ছেন? ইস্তাম্বুলের কোথায় যাবেন? ছুটি কাটানোর খরচ তিনি কীভাবে মেটাবেন? টিকিটের দাম কত? এসব প্রশ্ন করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবন্দরে তাকে বিশেষভাবে একাধিকবার তল্লাসি করা হয়। একজন সাধারণ বিমানযাত্রীর মত বিমান ভ্রমণ করতে পারছিনা আমরা।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার চিকাগো থেকে যাত্রা করা সাউথইস্ট বিমানের ৫ মুসলিম যাত্রীকে বিমানে উঠতে বাধা দেয়া হয়।