খোলা বাজার২৪ ॥শুক্রবার, ২৭ নভেম্বর ২০১৫: বগুড়ার শিবগঞ্জে শিয়া মসজিদে গুলির ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ আটক করেছে দুইজনকে।
শিবগঞ্জ থানার ওসি আহসান হাবিব জানান, হামলার ঘটনার পর বৃহস্পতিবার রাতে মসজিদের কোষাধ্যক্ষ সোনা মিয়া থানায় ওই মামলা দায়ের করেন।
“মামলায় অজ্ঞাত পরিচয় কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে,” বলেন ওসি।
এদিকে পুলিশ শুক্রবার ভোরের দিকে ওই এলাকা থেকে দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে।
এরা হলেন – সৈয়দ জামগড়া গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে আনোয়ার হোসেন (৪৮) ও হরিপুরের আব্দুল মান্নানের ছেলে জুয়েল (২৫)।
“তাদের আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করে তথ্য পাওয়ার চেষ্টা করছি। এখনও গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি,” বলেন ওসি।
বৃহস্পতিবার মাগরিবের নামাজের সময় কিচক হরিপুর গ্রামের আল মস্তেফা মসজিদে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
হামলার পর রক্তাক্ত মসজিদ হামলার পর রক্তাক্ত মসজিদ হামলায় নিহত হন ওই মসজিদের মুয়াজ্জিন মোয়াজ্জেম হোসেন (৭০)। আহত হন ইমাম শাহিনুর রহমান (৬০) ও নামাজ পড়তে আসা স্থানীয় বাসিন্দা তাহের মিস্ত্রি (৫০) ও আফতাব আলী (৪০)।
ওসি জানান, মসজিদের ভেতরে পয়েন্ট ২২ বোরের আটটি গুলির খোসা পেয়েছেন তারা। মসজিদের একটি স্তম্ভে দেখা গেছে তিনটি গুলির চিহ্ন।
মুসল্লিরা যখন সিজদায়, তখন তিন যুবক গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা পুলিশকে জানিয়েছেন।
আগের সন্ধ্যার গুলির ঘটনার পর থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে শিবগঞ্জে। ওই মসজিদের আশেপাশে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হলেও এমন ঘটনায় হতবাক হরিপুরের বাসিন্দারা।
হামলাকারী কারা, তা পুলিশ কিংবা স্থানীয়দের কেউ তাৎক্ষণিকভাবে শনাক্ত করতে পারেনি। স্থানীয়রা বলছেন, ওই এলাকায় শিয়াদের সঙ্গে সুন্নিদের কোনো ধরনের বিরোধ ছিল না।
এক মাস আগে পুরান ঢাকার হোসাইনী দালানে শিয়া সমাবেশে হামলার মতোই বগুড়ার ঘটনার দায় স্বীকার করে মধ্যপ্রাচ্যের উগ্রপন্থি দল আইএস বার্তা দিয়েছে বলে খবর এসেছে। অবশ্য বাংলাদেশে আইএসের কোনো তৎপরতা নেই বলে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে।