Sat. May 3rd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

40খোলা বাজার২৪ ॥শুক্রবার, ২৭ নভেম্বর ২০১৫: ঢাকায় নোয়াখালী সমিতির অনুষ্ঠানে এসে বিএনপি নেতা মওদুদ আহমদকে না দেখে খেদ প্রকাশ করলেন আওয়ামী লীগ নেতা ওবায়দুল কাদের।
ঢাকায় বসবাসরত নোয়াখালীবাসীর আয়োজনে শুক্রবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত এই ‘নোয়াখালী উৎসবে’ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
নোয়াখালীর সাবেক সাংসদ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদেরও এ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়ার কথা ছিল।
রাষ্ট্রপতির আগে বক্তব্য দিতে উঠে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের নোয়াখালীর আঞ্চলিক ভাষায় বলেন, “মওদুদ ভাই আইলে আঁই খুশি হইতাম। আইলো না হেই মিয়া।”
২০০১ সালের সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী-৫ আসনের ভোটে মওদুদের কাছেই হেরেছিলেন কাদের। ২০০৮ সালে পরের নির্বাচনে মওদুদকে হারিয়েই ওই আসনের এমপি হন। মওদুদও পরে খালেদা জিয়ার ছেড়ে দেওয়া বগুড়ার আসন থেকে উপ নির্বাচন করে সাংসদ হয়েছিলেন।
সর্বশেষ ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেয়নি। আর কাদের নোয়াখালী-৫ থেকে জিতে এসেই যোগাযোগ মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাদের মনে করেন, তার ‘মওদুদ ভাই’ হয়তো ঠিকই অনুষ্ঠানে আসতে চেয়েছিলেন। কিন্তু দল চায়নি বলে শেষ পর্যন্ত আর আসেননি।
এর ধারণার কথা জানিয়ে অতিথিদের দিকে কাদের প্রশ্ন ছুড়ে দেন- “হাছা কইছি, না মিছা কইলাম?”
অতিথিদের আসন থেকে উত্তর আসে- “হাছা, হাছা।”
কাদের তখন বলেন, “হ্যাঁ। এইডা আঁরও মনের কথা, আপনারও মনের কথা।”
আওয়ামী লীগের এই প্রভাবশালী নেতা বলেন, “আসলে উনার সঙ্গে দেখা হইতো, দুইটা কথা হইতোৃসব সময় তো দেখা হয় না। সব কিছু এতো পোলারাইজড হয়ে গেছেৃ।
নোয়াখালীর এই সাংসদের মুখ থেকে নিজের এলাকার ভাষা শুনে উপস্থিত সবাই হাততালি দেন।
কাদের বলেন, “ইয়ানো মেজবান আছে। গরুর মাংস, বুটের ডাল, ইচা মাছ দি কদু। ব্যগুনে খাইয়েন। তয় বেশি খাই হ্যাড খারাপ কইরেন ন।”
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হকও নোয়াখালীর সন্তান। তার দাবি, ঢাকায় থাকা নোয়াখালীবাসীর ৯০ ভাগই তার ভোটার।
অনুষ্ঠানে মেয়র হিসেবে সাত মাসের কাজের ফিরিস্তিও তুলে ধরেন এফবিসিসিআইয়ের এই সাবেক সভাপতি।
“বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য ৭২টি স্টেশন করছি। ২১ হাজার বিলবোর্ড পরিষ্কার করেছি। জানুয়ারি থেকে যার যার বাড়ি ও দোকানের সামনের এলাকা নিজ নিজ উদ্যোগে পরিষ্কার করবে- এমন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পাঁচটি কোম্পানির নামে ৩ হাজার বাস ঢাকায় ছাড়া হবে।
“জয়দেবপুর-তেজগাঁও রাস্তায় ৫৯টি ক্রস বন্ধ করে দিচ্ছি। শনিবার মাননীয় মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাহেবের কাছে গিয়ে এ বিষয়ে প্রেজেন্টেশন দেব।”
অবশ্য বর্ষা মৌসুমে ঢাকার রাস্তায় ‘জলযট’ ঠেকাতে কী করণীয়- তা এখনও বুঝে উঠতে পারেননি বলে স্বীকার করেন আনিসুল।
অনুষ্ঠানের বক্তাদের অনেকেই নোয়াখালীকে বিভাগ ঘোষণার দাবি জানান। অবশ্য নোয়াখালীকে বিভাগ করার ইংগিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগেই দিয়ে রেখেছেন।