
খোলা বাজার২৪॥শুক্রবার, ২৭ নভেম্বর ২০১৫: অনুষ্ঠেয় বিএনপি ১৫ দিন পেছানোর দাবি জানালেও নির্বাচন পেছানোর কোনো সম্ভাবনা দেখছে না নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্ধারিত ৩০ ডিসেম্বরেই ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
পৌরসভা নির্বাচন পেছানো নিয়ে বিএনপি’র দাবির প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশন সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম শুক্রবার বলেন, ‘নির্বাচন পেছানোর কোনো সম্ভাবনা দেখছি না।’
শুক্রবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শর্তসাপেক্ষে পৌর নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেয় বিএনপি। একই সঙ্গে নির্বাচনের তফসিল ১৫ দিন পেছানোর দাবি জানায় তারা।
তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ৩ ডিসেম্বর। যাচাই-বাছাই ৫ ও ৬ ডিসেম্বর এবং মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৩ ডিসেম্বর। ভোটগ্রহণ ৩০ ডিসেম্বর।
নির্বাচন পেছনোর যুক্তি হিসেবে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, তিনদিন পর নতুন ৫০ লাখ ভোটার অন্তর্ভুক্ত হবেন। ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন হলে এখানে এই নতুন ভোটাররা প্রথমবারের মত ভোট দান থেকে বঞ্চিত হবেন। তাই ১৫ দিন সময় বাড়ানোর দাবি জানানো হয়।
নতুন ভোটার প্রসঙ্গে ইসি সচিব বলেন, ‘৫০ লাখ ভোটারের ভোট দেওয়ার বিষয়ে তারা (বিএনপি) যেটি বলেছেন, সে বিষয়ে তারা জানেন না। নির্বাচন ১৫ দিন পেছালেও নতুন ভোটাররা ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন না।’
তিনি বলেন, ‘বিধি অনুযায়ী ২ জানুয়ারি খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। এরপর ৩১ জানুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। সুতরাং ১৫ দিন পেছালে নতুন ভোটাররা ভোট দিতে পারবেন বলে, যে দাবি করা হচ্ছে, আসলে-তারা (বিএনপি) আইনকানুন জানেন না।’
আইন ও বিধি অনুযায়ী প্রতিবছর ২ জানুয়ারি হতে ৩১ জানুয়ারির মধ্যে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। সে অনুযায়ী ২ জানুযারি ২০১৫-২০১৬ বছরের হালনাগাদ ভোটার তালিকার খসড়া প্রকাশ করবে ইসি। ১০ দিন ইসির নোটিশ বোর্ডে এই তালিকা টানানো থাকবে। ১৫ জানুযারি পর্যন্ত ওই তালিকার বিপরীতে দাবি আপত্তি নেওয়া হবে। দাবি আপত্তির শুনানি শেষে কমিশনের অনুমতিক্রমে ৩১ জানুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে।