Sat. May 3rd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

8খোলা বাজার২৪॥ শনিবার, ২৮ নভেম্বর ২০১৫ ক্যামব্রিয়ান স্কুল এ্যান্ড কলেজের কলেজ শাখার ছাত্রী সামিয়াতুস সাদেকা ইমার (১৮) মৃত্যুর রহস্য উদ্ঘাটনে তদন্ত করছে পুলিশ।
নিহতের পরিবারের দাবি, সামিয়াকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাই সামিয়ার গলা থেকে টিস্যুর নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
লাশের সুরতহাল শেষে ঢামেকের সহকারী অধ্যাপক ডা. সোহেল মাহমুদ শুক্রবার দুপুরে বলেন, ‘মৃতদেহের গলায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। আঘাতটি আসলে ফাঁসের কিনা তা নিশ্চিত হতে গলার টিস্যু (কোষ) সংগ্রহ করা হয়েছে। ওই প্রতিবেদন হাতে পেলে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।’
মৃত ইমার মামা এ এস এম শাহজালাল বলেন, “ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধারের সময় তার হাতে একটি চিরকুট পাওয়া যায়। তাতে লেখা ছিল, ‘মোবাইল চুরির অপবাদ আমি সইতে পারিনি। শিমু, আমি তোকে ফাঁসাতে চাইনি। মোবাইল চুরির বিষয়ে সত্যিই আমি কিছু জানি না’।”
তিনি বলেন, ‘সে আত্মহত্যা করেনি। তাকে মোবাইল চুরির অভিযোগে মেরে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। ক্যামব্রিয়ান কলেজের হোস্টেলে মোবাইল ব্যবহার নিষিদ্ধ। তার পরও হোস্টেলে মোবাইল এসেছে কীভাবে? তার বিরুদ্ধে মোবাইল চুরির অপবাদই বা কেন দেওয়া হল? কলেজ কর্তৃপক্ষই বা কী করল?’
রাজধানীর গুলশানে ৫৮/১/এ নর্দায় বৃহস্পতিবার রাতে ক্যামব্রিয়ান কলেজের ১২ নম্বর আবাসিক হোস্টেলের ষষ্ঠ তলার ২ নম্বর ইউনিটে এ ঘটনা ঘটে। সেখানের একটি কক্ষের সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় সামিয়ার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তার লাশ সিলিংয়ের সঙ্গে ওড়না দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায় পুলিশ।
ইব্রাহিম খলিল ও সুরাইয়া আক্তারের মেয়ে সামিয়াতুস সাদেকা ইমা ক্যামব্রিয়ান স্কুল এ্যান্ড কলেজের বারিধারার মূল শাখায় বিজ্ঞান বিভাগের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী। তাদের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর জেলার কচুয়া থানায়।
গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘এ ঘটনায় এখনো থানায় কোনো মামলা হয়নি। লাশের ময়নাতদন্ত শেষে শুক্রবার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।