খোলা বাজার২৪॥ সোমবা্বার৩০ নভেম্বর ২০১৫ :নিবন্ধিত ব্যবসায়ীদের ভ্যাট (মূল্য সংযোজন কর) আদায়ে রাজস্ব বিভাগের কর্মকর্তারা হয়রানি করছেন বলে আবারও অভিযোগ তুলেছেন ব্যবসায়ীরা। তারা বলেন, দেশে যে সংখ্যক ব্যবসায়ীর নিবন্ধন রয়েছে এর কয়েক গুণ বেশি ভ্যাটের আওতার বাইরে। বছরের পর বছর তাদের ভ্যাট দিতে হচ্ছে না। অথচ যারা ভ্যাট দিচ্ছেন তাদের বারবার হয়রানি করা হচ্ছে। এটা বন্ধ করে কর বাড়াতে অনিবন্ধিতদের ভ্যাটের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন তারা। রাজধানীর কাকরাইলে আইডিইবি ভবনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও ব্যবসায়ীদের এক সংলাপ অনুষ্ঠানে এ দাবি জানান তারা। এনবিআর চেয়ারম্যান নজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন এফবিসিসিআইর সভাপতি আবদুুল মাতলুব আহমাদ।
মাতলুব বলেন, অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বছরের পর বছর ভ্যাট নিবন্ধনের বাইরে। এর কারণ হতে পারে, কর্মকর্তাদের সঙ্গে তাদের হয়তো কোনো আঁতাত রয়েছে। তিনি বলেন, কালো টাকা দিয়ে দীর্ঘ দিন ব্যবসা করা সম্ভব নয়। এ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। যারা কর দিচ্ছেন না, তাদের বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণের পরামর্শ দেন তিনি।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, চলতি অর্থবছরে ১ লাখ ৭৬ হাজার ৩৭০ কোটি টাকার রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে। সেই হিসাবে প্রতিদিন ৪৮৩ কোটি টাকা আদায় করতে হবে। ব্যবসায়ী ও এনবিআর দূরত্ব কমিয়ে অংশিদারিত্বের মাধ্যমে এ লক্ষ্য অর্জন করতে হবে।
বাংলাদেশ দোকান মলিক সমিতির সভাপতি এসএ কাদের কিরণ আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার সময় বাড়ানোর প্রস্তাব দেন। তিনি সম্প্রতি কর অফিস থেকে ব্যবসায়ীদের ৪ শতাংশ ভ্যাটের নোটিশ বিষয়ে বলেন, হয়রানিমূলক নোটিশ প্রত্যাহার করতে হবে। ব্যবসায়ীদের হয়রানি এড়াতে ভ্যাটের চালান এফবিসিসিআইতে জমা দিতে ডেস্ক খোলার প্রস্তাব দেন তিনি।
এফবিসিসিআইর পরিচালক আবদুল মোতালেব বলেন, সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে কর আদায় হলে হয়রানি হবে না বলে জানিয়েছিলেন এনবিআরের চেয়ারম্যান। কিন্তু এ উদ্যোগের পরও কর আদায়ে হয়রানি করছেন কর্মকর্তারা।
ব্যবসায়ীদের দাবির সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে ঢাকা দক্ষিণের ভ্যাট কমিশনারেটের যুগ্ম কমিশনার নাহিদা ফরিদী বলেন, আইনের ভিত্তিতে কর্মকর্তারা অভিযান পরিচালনা করেন। ব্যবসায়ীরাও কিছু ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি করেন। সম্প্রতি রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের একটি দোকানের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ওই ব্যবসায়ীর ভ্যাট ফাঁকির বিষয়টি উদ্ঘাটন করা হলে তিনি ভ্যাট দিতে রাজি হন। কিন্তু তার সংগঠনের নেতারা তাকে ভ্যাট না দেওয়ার জন্য চাপ দেন।
মাতলুব বলেন, অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বছরের পর বছর ভ্যাট নিবন্ধনের বাইরে। এর কারণ হতে পারে, কর্মকর্তাদের সঙ্গে তাদের হয়তো কোনো আঁতাত রয়েছে। তিনি বলেন, কালো টাকা দিয়ে দীর্ঘ দিন ব্যবসা করা সম্ভব নয়। এ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। যারা কর দিচ্ছেন না, তাদের বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণের পরামর্শ দেন তিনি।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, চলতি অর্থবছরে ১ লাখ ৭৬ হাজার ৩৭০ কোটি টাকার রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে। সেই হিসাবে প্রতিদিন ৪৮৩ কোটি টাকা আদায় করতে হবে। ব্যবসায়ী ও এনবিআর দূরত্ব কমিয়ে অংশিদারিত্বের মাধ্যমে এ লক্ষ্য অর্জন করতে হবে।
বাংলাদেশ দোকান মলিক সমিতির সভাপতি এসএ কাদের কিরণ আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার সময় বাড়ানোর প্রস্তাব দেন। তিনি সম্প্রতি কর অফিস থেকে ব্যবসায়ীদের ৪ শতাংশ ভ্যাটের নোটিশ বিষয়ে বলেন, হয়রানিমূলক নোটিশ প্রত্যাহার করতে হবে। ব্যবসায়ীদের হয়রানি এড়াতে ভ্যাটের চালান এফবিসিসিআইতে জমা দিতে ডেস্ক খোলার প্রস্তাব দেন তিনি।
এফবিসিসিআইর পরিচালক আবদুল মোতালেব বলেন, সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে কর আদায় হলে হয়রানি হবে না বলে জানিয়েছিলেন এনবিআরের চেয়ারম্যান। কিন্তু এ উদ্যোগের পরও কর আদায়ে হয়রানি করছেন কর্মকর্তারা।
ব্যবসায়ীদের দাবির সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে ঢাকা দক্ষিণের ভ্যাট কমিশনারেটের যুগ্ম কমিশনার নাহিদা ফরিদী বলেন, আইনের ভিত্তিতে কর্মকর্তারা অভিযান পরিচালনা করেন। ব্যবসায়ীরাও কিছু ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি করেন। সম্প্রতি রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের একটি দোকানের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ওই ব্যবসায়ীর ভ্যাট ফাঁকির বিষয়টি উদ্ঘাটন করা হলে তিনি ভ্যাট দিতে রাজি হন। কিন্তু তার সংগঠনের নেতারা তাকে ভ্যাট না দেওয়ার জন্য চাপ দেন।