Sun. May 4th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

5খোলা বাজার২৪, সোমবার, ৩০ নভেম্বর ২০১৫ : ডিসেম্বরে পৌর নির্বাচনকে সামনে রেখে কাউন্সিলর পদের জন্য ব্যালট পেপার মুদ্রণের কাজ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ৩০ ডিসেম্বর ২৩৬টি পৌরসভার ভোটে মেয়র, সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদের জন্য মোট ভোটারের তিনগুণ ব্যালট পেপার লাগবে।
এসব পৌরসভায় মোট ভোটার ৭১ লাখ ৬২ হাজার ৩৯৬ জন। মেয়র, সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ব্যালট পেপার প্রয়োজন পড়বে ২ কোটি ১৪ লাখ ৮৭ হাজার ১৮৮টি।
এবার প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে মেয়র প্রার্থীরা পৌর ভোটে অংশ নেবেন। যেহেতু ব্যালটে মেয়র প্রার্থীদের নাম ও প্রতীক রাখতে হবে, তাই প্রার্থী চূড়ান্ত হওয়ার পর এ পদের জন্য ব্যালট ছাপানো শুরু হবে বলে কমিশনের উপ-সচিব সামসুল আলম জানিয়েছেন।
কাউন্সিলর পদের নির্বাচন আগের মতোই নির্দলীয়ভাবে হবে বলে ব্যালটে থাকবে শুধু মার্কা। এ কারণে এই ব্যালট এখন ছাপানো শুরু হয়েছে।
কমিশনের সহকারী সচিব সৈয়দ গোলাম রাশেদ বলেন, “কাউন্সিলর পদের জন্য এক কোটি ৪০ লাখের বেশি ব্যালট পেপার ১৩ ডিসেম্বরের আগে মুদ্রণ সম্পন্ন করা হবে। সাধারণ কাউন্সিলর পদের ১২টি প্রতীক ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদের ১০টি প্রতীক থাকবে এসব ব্যালট পেপারে।
মেয়র পদের জন্য ব্যালট ছাপানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের পর প্রার্থীদের দলীয় প্রতীক ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর নাম, প্রতীক নিয়ে ব্যালট মুদ্রণ শুরু হবে। ১০-১২ দিনের মধ্যে ৭১ লাখের বেশি ব্যালট ছাপানো শেষ করে নির্বাচনী এলাকায় পৌঁছাতে হবে।”
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে। ৫ ও ৬ ডিসেম্বর মনোনয়ন বাছাই, প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৩ ডিসেম্বর।
পৌর নির্বাচনকে সামনে রেখে মনোনয়নপত্র বিতরণ, গ্রহণ, বাছাই পদ্ধতি, আপিল-দাবি নিষ্পত্তি, প্রত্যাহার, প্রতীক বরাদ্দ, প্রচার, আচরণবিধি প্রতিপালন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, ভোট পর্যন্ত কার্যক্রম শেষ করতে কর্মপরিকল্পনা নিতে পরিপত্রের মাধ্যমে মাঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে।
নির্বাচন কমিশনের একজন উপ-সচিব জানিয়েছেন, ভোটের ৮-১০ দিন আগে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক হবে। রিটার্নিং কর্মকর্তা, গোয়েন্দা সংস্থা ও কমিশনের নিজস্ব পর্যবেক্ষকদের প্রতিবেদন নিয়ে এ বৈঠকে আলোচনা করে করনীয় ঠিক করা হবে।
পরিস্থিতি বিবেচনা করে কেন্দ্রভিত্তিক কতজন নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগ করা হবে, নির্বাহী ও বিচারিক হাকিম নিয়োগ এবং সন্ত্রাসী গ্রেপ্তারে বিশেষ অভিযানসহ নানা কার্যক্রম নেওয়া হবে।
আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা কতদিন মাঠে থাকবেন, তাও চূড়ান্ত হবে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বৈঠকে।
তবে উপজেলার মতো এই ভোটেও নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন বিজিবি, পুলিশ, র‌্যাব, এপিবিএন, কোস্টগার্ড, আনসার বাহিনীর সদস্যরা।