বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘পৌর নির্বাচনে অংশ গ্রহণের লক্ষ্যে বিএনপি নির্বাচন কমিশনের কাছে কিছু পর্যবেক্ষণ ও দাবি তুলে ধরেছিল। কিন্তু দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্ করছি, কমিশন এসব দাবি নিরসনের কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। আমরা প্রতীকীভাবে ১৫ দিন সময় বাড়ানোর কথা বলেছিলাম। এর জন্য এক মাস সময় লাগলে লাগতে পারত, তাহলে সমস্যা কী হতো। এর মধ্য দিয়ে ৫০ লাখ নতুন ভোটার নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত হতে পারত।’
নির্বাচন কমিশন নির্বাচন না পেছানোর কারণ হিসেবে তাবলিগ জামায়াতের বিশ্ব ইজতেমা ও ফেব্রুয়ারিতে মাধ্যমিক পরীক্ষার কথা উল্লেখ করে। রিপন বলেন, এক পরীক্ষা থেকে আরেক পরীক্ষার মধ্যে চার দিনের গ্যাপে এ নির্বাচন করা সম্ভব ছিল। যদি কমিশনের সদিচ্ছা থাকত।
কমিশন সচিবালয়ের একাধিক শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা জানান, বিএনপির দাবি অনুযায়ী নির্বাচন ১৫ দিন পেছানো হলেও নতুন ভোটাররা ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবেন না। কারণ, হালনাগাদ করা ভোটার তালিকা চূড়ান্ত হবে ৩১ জানুয়ারি। আর ২৩৬টি পৌরসভায় নতুন ভোটার অন্তর্ভুক্ত হবে তিন লাখের কিছু বেশি, ৫০ লাখ নয়। এই পরিমাণ ভোটারের জন্য অপেক্ষা করলে সব পৌরসভার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাবে। তা ছাড়া ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা চলবে বলে ওই সময়েও নির্বাচন করা সম্ভব নয়। জুনে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন করতে হবে।
রিপন বলেন, ‘আমরা সম্ভাব্য প্রার্থী ও নেতা-কর্মীদের গণগ্রেপ্তার বন্ধের দাবি করেছিলাম। এরপরও গতকাল সোমবার ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার বর্তমান মেয়র ও বিএনপির সহসভাপতি এ এফ এম আজিজুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনে দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক, সহদপ্তর সম্পাদক আবদুল লতিফ, আসাদুল করিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।