খোলা বাজার২৪॥ মঙ্গলবার, ১ ডিসেম্বর ২০১৫: দেয়ালে পিঠ ঠেকে আছে চিটাগাং ভাইকিংসের। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে দরকার দায়িত্বশীলতা। কিন্তু বিপিএলে ৫ ম্যাচের ৪টিতে হেরে পয়েন্ট টেবিলের তলানীতে থাকা চিটাগাংয়ের ব্যাটিংয়ে দায়িত্বশীলতা খুঁজে পাওয়া গেলো না। রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেটে ১১১ রানে থামতে হয়েছে তাদের। সর্বোচ্চ ৩৬ রান এসেছে ওপেনার ও অধিনায়ক তামিম ইকবালের ব্যাট থেকে।
চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বিপিএলে আজকের প্রথম ম্যাচে চিটাগাংয়ের শুরুটা ভালোই হয়েছিল। তামিম ও তিলকারতেœ দিলশান ঝড় তোলেননি। কিন্তু জুটি গড়ে তুলছিলেন। দুজনে সেটও হয়ে গিয়েছিলেন। ততক্ষণে তিনটি চমৎকার বাউন্ডারি মেরেছেন দিলশান। ৩৯ রান এসেছে ওপেনিং জুটিতে। কিন্তু সপ্তম ওভারে বাঁ হাতি স্পিনার আরাফাত সানিকে তুলে মারতে গেলেন দিলশান। লং অনে ক্যাচটা নিতে ভুল হয়নি জহুরুল ইসলামের। ১৮ রান করে বিদায় দিলশানের।
চাপটা তখনো চেপে বসেনি চিটাগাংয়ের ওপর। কামরান আকমল একটি ছক্কা মারলেন সানিকে। শোধ নিলেন সানি। তবে ভুলটা কামরানের। ভুল বলকে কাট করতে গিয়ে বোল্ড হয়ে ফেরার সময় তার রান ১২।
এরপর কিছুক্ষণ বিরতি। তারপর পরপর তিন ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে চিটাগাং। সাকলাইন সজীবকে ওই ওভারে ছক্কা মেরেছিলেন এনামুল হক। আবারো উচ্চাভিলাসী শট নিতে গিয়ে লং অফে ড্যারেন স্যামির ক্যাচ হয়ে ফিরেছেন। এনামুলের রান ১৪।
এরপর সবচেয়ে বড় উইকেটটি হারায় চিটাগাং। তামিম ধৈর্য ধরেছিলেন। কিন্তু মোহাম্মদ নবিকে উইকেট ছেড়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন। ৪৩ বলে ৩৬ রান করেছেন তামিম। বাউন্ডারি মেরেছেন মাত্র দুটি।
আগের রাতে শারজায় ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ টি-টোয়েন্টি খেলে সকালেই চট্টগ্রামে পা রাখেন উমর আকমল। কিন্তু ১ রান করেই সাকিব আল হাসানের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন।
১৫ ওভারে ৮৪ রানে ৫ উইকেট হারানোর পরও কিছু করা যায়। কিন্তু চিটাগাং পারলো না। নাঈম ইসলাম ১৬ রানে অপরাজিত থাকলেন। আরো কোনো ব্যাটসম্যানের ব্যাট থেকে রান এলো না। এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরা সাকিব নিয়েছেন ২ উইকেট। ২ উইকেট সানিরও।