খোলা বাজার২৪॥ মঙ্গলবার, ১ ডিসেম্বর ২০১৫: কোমলমতি শিশু। এদের বয়সটাই বা কত ? কি করে বুঝলো এটাকে নকল বলে ? সবে মাত্র বয়স ১০ কিংবা ১১ এর কোঠায় পা দিল। আবার কারো কারো এনিচেও। এদেরকে কোমলমতি শিশু বলা হয়। যা দেখবে যা শিখাবেন তাই শিখবে। তাই বলে এই বয়সেই নকল ? কিভাবে জানল এভাবে নকল করে ? কিভাবে বুঝলো এটাকেই নকল বলে?
বিষয়টি দেখতে এবং বুঝতে কয়েকটি পরীক্ষা কেন্দ্রে ঘুরে দেখা গেল, কেন্দ্রে প্রকাশ্যে নকল করা, পরিদর্শকদের নকলে সহযোগিতা করা, অভিভাবকদের নকল পৌঁছে দেয়া, পরীক্ষার্থীদের বলে দেয়া সহ বিভিন্ন অনিয়মের মধ্য দিয়ে শেষ হলো প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিএসসি) পরীক্ষা। কোমলমতি শিশুদের পরীক্ষায় এমন চিত্র মেধাবী পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে। মাদ্রাসা কেন্দ্রে নকলের চিত্র বেশি দেখা গেছে।
অভিভাবকদের অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে পিএসসি পরীক্ষার শেষ দিন সোমবার দুপুরে উপজেলার ৩৭নং শৌলা আদর্শ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে বাংলা পরীক্ষায় নকলের মহোৎসবের চিত্র দেখা গেছে। সাংবাদিকদের উপস্থিতি দেখে কেন্দ্রের দায়িত্বরত সচিব-সহকারী সচিবরা তাদের আপ্যায়নের জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েন। হল পরিদর্শকরা কক্ষে পরীক্ষার্থীদের সতর্ক করে দিচ্ছেন। তারপরেও একাধিক পরীক্ষার্থীকে নকল করতে দেখা গেছে। নকল করা অবস্থায় ছবি তোলার পর তাদের খাতা শুধু মাত্র জব্দ করা হয়েছে। তবে বহিস্কার করা হয়নি। এছাড়া কিছু অভিভাবকদের বাহির থেকে জানালা দিয়ে পরীক্ষার্থীদের নকল সরবরাহ করতে দেখা গেছে। পরিদর্শকদের বিরুদ্ধে পরিচিত পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র মূল্যায়নে সহযোগিতা করার অভিযোগ রয়েছে। অন্যদিকে একজনের উত্তরপত্র নিয়ে অন্যজনকে লিখতে দেখা গেছে।
প্রকাশ্যে নকল ও অনিয়মের ব্যাপারে ৩৭নং শৌলা আদর্শ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র সচিব জোবায়দা বেগমের কাছে জানতে চাইলে তিনি কোনো সুনির্দিষ্ট জবাব দিতে পারেননি।
এব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ রুহুল আমিন বলেন, ওই কেন্দ্রের নকল ও অনিয়মের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।