খোলা বাজার২৪॥ মঙ্গলবার, ১ ডিসেম্বর ২০১৫: শারীরিক সম্পর্ক গড়ার আগে দেখাতে হবে এইচআইভি নেগেটিভ শংসাপত্র। মারণরোগের আক্রমণ ঠেকাতে এমনই কড়া পদক্ষেপ নিলেন ভারতের উত্তর প্রদেশের গ্রামীণ মহিলারা।
উত্তরপ্রদেশের ফতেহপুর জেলার উদয়সরাই গ্রামে ২০০ পরিবারের বাস। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্ট অনুসারে, এই গ্রামের মোট ২৫০ জন পুরুষ কর্মসূত্রে মুম্বইয়ে বসবাস করে মাত্র কয়েকটি দিনের ছুটিতে গ্রামে ফিরবার সুযোগ পান। ঘরে ফেরার সময় পরিবারের জন্য অর্থ ও উপহার নিয়ে আসেন তাঁরা। সেই সঙ্গে বয়ে আনেন ভয়ঙ্কর এইচআইভি ভাইরাস।
রোগগ্রস্ত স্বামীর সঙ্গে যৌন সম্পর্কের জেরে অজান্তে এইডস-এর শিকার হয়েছেন গ্রামের কয়েকজন মহিলা। সমস্যার সমাধান করতে তাই এইআইভি নেগেটিভ শংসাপত্র বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন গ্রামের মেয়েরা।
মুম্বইয়ের কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফিরে স্ত্রীর সঙ্গে শারীরিক ভাবে ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করলে তাই আচমকা কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে পুরুষদের। প্রথমে রাগারাগি করলেও কাউন্সেলিং ও বিস্তারিত আলোচনার পর রক্ত পরীক্ষা করতে রাজি হয়েছেন তাঁরা।
পরিসংখ্যান বলছে, ১০ বছর আগে আর পাঁচটি গ্রামের মতোই অবস্থা ছিল উদয়সরাইয়ের। অন্য গ্রামের পুরুষদের মতোই, এই গ্রামের সমর্থ জোয়ানরা কাজের সন্ধানে ঘর ছাড়তে বাধ্য হতেন। কিন্তু ২০০৫ সালের এক সরকারি স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্টে হঠাৎ জানা যায়, গ্রামের ৫৫ জন বাসিন্দার শরীরে এইচআইভি সংক্রমণ ঘটেছে। গত ১০ বছরে মারণরোগের শিকার হয়ে মারা গিয়েছেন ৪৪ জন এবং ১২ জন এখনও এইডস-এর সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে।
নিজের ও ঘনিষ্ঠজনের সুরক্ষার কারণে তাই রক্ত পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন উদয়সরাইবাসী।