Thu. Mar 13th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

88খোলা বাজার২৪॥ মঙ্গলবার, ১ ডিসেম্বর ২০১৫: প্রতিবেশী যুবতীকে ধর্ষণ এবং তার পর হত্যার দায়ে অভিযুক্ত হল এক নাবালক সহ দিল্লির দুই দুষ্কৃতী। অভিযোগ, খুন করার পর লাশ গুম করে ফের মৃতদেহটি ধর্ষণ করে তারা। নাবালক ধরা পড়লেও এখনও খোঁজ নেই তার সঙ্গীর।
রীতিমতো পরিকল্পনা করে প্রতিবেশী যুবতীকে ধর্ষণের ছক কষে দিল্লির মুকুন্দপুর অঞ্চলের দুই বন্ধু। এদের একজন নাবালক এবং অন্য জন বছর বাইশের অভিমন্যু। পুলিশের দাবি, গত শনিবার গভীর রাতে ওই যুবতী বাড়িতে একা ছিলেন। সেই সময় পিক-আপ ভ্যান নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দুই দুষ্কৃতী। পাশের বাড়ির ছাদে উঠে তাঁর ফ্ল্যাটে তারা ঢুকে পড়ে। যুবতীকে ঘুমন্ত অবস্থায় পেয়ে প্রথমে ক্লোরোফর্মের সাহায্যে তাঁকে সংজ্ঞাহীন করা হয়। এর পর তাঁকে ধর্ষণ করা হয়। কিন্তু এর মধ্যে হুঁশ ফিরে এলে বাধা দেন নিগৃহীতা। সেই সময় শ্বাসরোধ করে তাঁকে খুন করে দুই বন্ধু।
পুলিশ জানিয়েছে, নিজেদের পিক-আপ ভ্যানে চাপিয়ে মহিলার দেহ নিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। দুই কিমি দূরে ভাল্সওয়া ডেয়ারি এলাকার জঙ্গলে পৌঁছে মৃতদেহটি ধর্ষণ করে তারা। তার পর জঙ্গলের মাঝে দেহ পেলে রেখে চম্পট দেয়।
জানা গিয়েছে, মৃতা যুবতী একটি ভোকেশনাল কোর্সে ফ্যাশন ডিজাইনিং নিয়ে পড়াশোনা করছিলেন। দিল্লিতে তিনি বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকতেন। তাঁর দাদারা বিদেশে বসবাস করেন। অভিযুক্তরা ওই এলাকাতেই বসবাস করার সূত্রে জানতে পারে, বাবা-মা দেশের বাড়িতে গিয়েছেন বলে শনিবার রাতে ফ্ল্যাটে ওই যুবতী একাই থাকবেন। এই সুযোগেই ধর্ষণের ফন্দি আঁটে তারা।
এদিকে রবিবার সকালে ফোনে মেয়েকে না পেয়ে প্রতিবেশীদের খোঁজ নিতে অনুরোধ জানান যুবতীর বাবা-মা। প্রতিবেশীরা পুলিশে অভিযোগ জানানোর পরেও যুবতীর খোঁজ মেলেনি। এর কিছু ক্ষণ পর জঙ্গলের মধ্যে হঠাতই অর্ধনগ্ন মৃতদেহটি নজরে পড়ে এক ব্যক্তির। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত করতে পাঠায়। ঘটনাস্থল থেকে মৃতার মোবাইল ফোন পাওয়া গিয়েছে।
তদন্তে নেমে ক্রমে নাবালকের প্রতি সন্দেহ ঘনীভূত হয় গোয়েন্দাদের। জেরায় প্রথমে পুলিশকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করলেও শেষমেশ অপরাধ স্বীকার করে সে। তবে এখনও তার সঙ্গী অভিমন্যুকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তার পরিবারের লোকদের সঙ্গে কথা বলে হদিশ জোগাড়ের চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা।