Thu. Mar 13th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

90খোলা বাজার২৪॥ মঙ্গলবার, ১ ডিসেম্বর ২০১৫: দাম কম হওয়ায় বিশ্ববাজার দখলে নিয়েছে ভেনামি জাতের চিংড়ি। এতে গত অর্থবছরে বাংলাদেশি ব্ল্যাক টাইগার প্রজাতির চিংড়ির চাহিদা ৪২ শতাংশ কমে গেছে। তাই রপ্তানি বাড়াতে দেশে-বিদেশে সরকারি উদ্যোগে চিংড়ির একক প্রদর্শনী জরুরি। বিশ্ব বাজারে চিংড়ির সম্ভাবনা বিষয়ে জানতে চাইলে মঙ্গলবার এমন মতামত ব্যক্ত করেন চিংড়ি উৎপাদন ও রপ্তানিকারকরা।
তারা জানান, এ শিল্পের মোট রপ্তানির ৯০ শতাংশ হয় ইউরোপে। কিন্তু সম্প্রতি ইউরো, রুবল ও ডলারের দরপতনে ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতা কিছুটা কমে গেছে। আর এই সুযোগে চিংড়ির বিকল্প হিসেবে সেখানে জায়গা করে নিয়েছে ভেনামি (প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের এক ধরনের সাদা চিংড়ি)। ভারত, থাইল্যান্ড ও চীনে এর ব্যাপক চাষ হয়। এক হেক্টরে যেখানে চিংড়ি চাষ হয় প্রায় ৩৫০ কেজি, সেখানে ভেনামি উৎপাদন হয় তিন থেকে চার হাজার কেজি। ফলে কম দামে ভেনামি বিক্রি করা যায়।
কিন্তু উৎপাদন খরচ বেশি পড়ায় বাংলাদেশের চিংড়ি ভেনামির দরে বিক্রি করা যায় না। ফলে বিশ্ব বাজারে প্রতিযোগিতার সক্ষমতায় টিকতে পারছে না বাংলাদেশের চিংড়ি। এ অবস্থায় বাংলাদেশি চিংড়িকে ‘ব্র্যান্ড’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার কোনো বিকল্প নেই। আর এ জন্য দরকার একক প্রদর্শনী। একক দেশ হিসেবে কোনো দেশে বাংলাদেশি চিংড়ির প্রদর্শনীর ব্যবস্থা এখনপর্যন্ত করা হয়নি। উদ্যোক্তারা ব্যক্তিগতভাবে ব্রাসেলস ও বোস্টনে দুটি প্রদর্শনীতে অংশ নেন। এ ছাড়া বাংলাদেশেও এখনপর্যন্ত এ পণ্যের কোনো প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়নি।
উদ্যোক্তাদের মতে, ভেনামি চিংড়ি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু বাংলাদেশের বাগদা বা গলদা ক্ষতিকর নয়। তাই প্রদর্শনীর মাধ্যমে বাংলাদেশি চিংড়ির গুরুত্ব তুলে ধরা যাবে।
চলতি অর্থবছরে এ খাত থেকে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫৭ কোটি ৮০ লাখ ডলারের, যা ২০১৩-১৪ অর্থবছরের রপ্তানির চেয়ে সাড়ে ৯ শতাংশ কম। অথচ চলতি অর্থবছরে মোট রপ্তানির প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ শতাংশ। মূলত হিমায়িত খাদ্য ও চিংড়ি শিল্পের এ নাজুক পরিস্থিতির কথা বিবেচনায় নিয়েই লক্ষ্যমাত্রা কমানো হয়েছে। তবুও লক্ষ্যমাত্রা পূরণ নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।
বাংলাদেশ হিমায়িত খাদ্য রপ্তানিকারক সমিতির (বিএফএফইএ) সহ-সভাপতি আশরাফ হোসাইন মাসুদ বলেন, বিশ্ব দরবারে চিংড়ির গুরুত্ব তুলে ধরতে এর প্রদর্শনীর বিকল্প নেই। এ জন্য সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে। এ ছাড়া ভর্তুকি না দেওয়া হলে আগামীতে চরম হুমকির মুখে পড়বে দেশের চিংড়ি খাত।