খোলা বাজার২৪, বুধবার, ২ ডিসেম্বর ২০১৫ : জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে কাল ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে যেভাবে ঝড় তুললেন এভিন লুইস, প্রাসঙ্গিকভাবে চলে এলেন ক্রিস গেইলও। যদিও জ্যামাইকান ওপেনার এখনো এসে পৌঁছাননি বাংলাদেশে।
বিপিএলে এখনো পর্যন্ত সর্বোচ্চ তিনটি সেঞ্চুরি গেইলের। অন্যদিকে প্রথম বিপিএল খেলতে এসে নিজের দ্বিতীয় ম্যাচেই লুইস পেলেন সেঞ্চুরির দেখা। গেইল যেভাবে উড়িয়ে মারতে ভালোবাসেন, লুইসও তা-ই। পার্থক্য কেবল-গেইল কখনো কখনো বল পাঠিয়ে দেন গ্যালারি বাইরে। লুইস আপাতত গ্যালারিতে পাঠিয়েই সন্তুষ্ট! অবশ্য বরিশাল বুলসের ওপেনার রসিকতার সুরে বলতেই পারেন, ‘একটু সময় দেন, ওটাও হয়ে যাবে। মাত্রই তো বয়স ২৩’!
এখনো ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে সুযোগ পাননি। তবে এরই মধ্যে নিজেকে ‘টি-টোয়েন্টি বিশেষজ্ঞ’ হিসেবে প্রমাণ করেছেন। ১৮টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে যেখানে তাঁর গড় ২৭.২১, ১৪টি লিস্ট ‘এ’-তে ১৮.৩৮; সেখানে ৩০ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে গড় ৩৪.৬২। ক্রিকেটের ছোট দৈর্ঘ্যে ভীষণ ‘স্বচ্ছন্দ’ বলেই কিনা ত্রিনিদাদ এন্ড টোবাগোয় জন্ম নেওয়া লুইস গুরু মানেন জ্যামাইকার গেইলকেই। যদিও ত্রিনিদাদেই জন্মেছিলেন ব্রায়ান লারার মতো কিংবদন্তি।
গেইলকে কেন গুরু মানেন, তা নিয়ে লুইসের ব্যাখ্যা, ‘গেইল আমার প্রিয় খেলোয়াড়। তাঁর এবং আমার ব্যাটিং ধরন একই। তাঁর মতো আমিও অনেক বেশি আর বড় বড় ছক্কা মারি। সে আমার গুরু। তাঁকে অনুসরণ করি। তাঁর মতো ছক্কা মারতে ভীষণ ভালোবাসি।’
অবশ্য কদিন পরই প্রিয় খেলোয়াড়কে উদ্বোধনী জুটি হিসেবে পেতে যাচ্ছেন লুইস। বরিশালের হয়ে খেলতে কয়েক দিনের মধ্যেই চলে আসার কথা গেইলের। লুইস মনে করেন, তাঁর পারফরম্যান্সে নিশ্চয়ই গর্ব বোধ করবেন গেইল, ‘অবশ্যই আমাকে নিয়ে তাঁর গর্ব হবে। কারণ, আমরা দুজনই ক্যারিবীয়।’
দুই ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যান যদি একই সঙ্গে জ্বলে ওঠেন, বরিশালের তো পোয়াবারো! ব্যাপারটা অবশ্য অন্য দলগুলোর জন্য অশনি সংকেতই