খোলা বাজার২৪, বুধবার, ২ ডিসেম্বর ২০১৫ : দলীয় প্রতীকে পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীদের অধিকাংশকেই চিঠি দিয়ে দেওয়া হয়েছে জানিয়ে দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবীর নানক বলেছেন, বুধবার দুপুরের মধ্যে বাকিদেরও দিয়ে দেওয়া হবে।
রাজধানীর ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কার্যালয়ে থেকে এসব চিঠি দেওয়া হচ্ছে। সেখানে নানকের সঙ্গে আছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম ও আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন।
নানক সাংবাদিকদের বলেন, “পৌরসভা নির্বাচনের অধিকাংশ প্রার্থীকে চিঠি দিয়ে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে স্থানীয় সরকার/পৌর মনোনয়ন বোর্ডের সভা শেষ হওয়ার পার এ প্রক্রিয়া শুরু হয়। দুপুরের মধ্যে সব প্রার্থীকে চিঠি দিয়ে দেওয়া হবে।”
বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিষয়ে নানক বলেন, “আশা করি, বিদ্রোহী প্রার্থী থাকবে না। তৃণমূলের মতামত নিয়েই এ প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হয়েছে।”
রংপুর বিভাগের ২০টি পৌরসভার মেয়র প্রার্থীকে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সেখানকার নির্বাচনের সমন্বয়কের দায়িত্বপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
মেয়র প্রার্থী ঠিক করতে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গণভবনে কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে বসেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।
সেখানে প্রায় তিন ঘণ্টা বৈঠকের পর প্রথমে সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা হবে না বলে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাড়ির কর্মকর্তারা জানিয়ে দেন।
সে সময় পর্যন্ত আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীদের তালিকা পাওয়া না গেলেও তাদের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপি ধানের শীষ প্রতীকের মেয়র প্রার্থীদের নাম মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে ঘোষণা শুরু করে।
আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় ২৩৫ পৌরসভায় নির্বাচনে ৩ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। এবারই প্রথম দলীয় প্রতীকে মেয়র নির্বাচন হচ্ছে।
তফসিল ঘোষণার পর গত বৃহস্পতিবার শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে আওয়ামী লীগ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, তৃণমূল থেকে পাঠানো নাম থেকে কেন্দ্র নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করবে।
তৃণমূল থেকে আসা প্রস্তাব নিয়ে সোমবার গণভবনে বৈঠকে বসেছিল আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ড। শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ওই বৈঠকে দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামসহ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যরা ছিলেন।
তবে ওই বৈঠকের পরও চূড়ান্ত তালিকা করা যায়নি বলে আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে কথা জানা যায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে দলটির এক নেতা জানান, প্রতিটি পৌরসভায় একজন করে প্রার্থীর তালিকা নিয়ে বৈঠকটি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বাস্তবে তা হয়নি।
“শতাধিক পৌরসভায় একাধিক নাম এসেছে। কোনো কোনোটিতে সাতটি পর্যন্ত নাম এসেছে। কিছু কিছু স্থানে বিএনপি থেকে সদ্য আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়া ব্যক্তির নামও এসেছে।