খোলা বাজার২৪ : বৃহস্পতিবার, ৩ ডিসেম্বর ২০১৫।।দীর্ঘ শোষণ-বঞ্চনা আর আধিপত্যবাদী ও সা¤্রাজ্যবাদী বিরোধী সংগ্রামে সামনের কাতারে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, সমগ্র জাতিকে দিক নির্দেশনা দিয়েছিলেন ভাষা সৈনিক আবদুল মতিন। ১৯৫২ সালে পাকিস্তানী শাষকের ভাষা আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তোলার নেতৃত্ব দিয়ে অধিকার আদায়ে সমগ্র জাতিকে সংগ্রামের পথ দেখিয়েছিলেন আবদুল মতিন।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে নয়াপল্টনস্থ যাদুমিয়া মিলনায়তনে ভাষা সৈনিক আবদুল মতিনের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ ঢাকা মহানগর আয়োজিত স্মরণ সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত বক্তব্য রাখছিলেন। নগর আহ্বায়ক সৈয়দ শাহজাহান সাজু‘র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, আলোচনায় অংশ গ্রহন করেন ন্যাপ যুগ্ম মহাসচিব স্বপন কুমার সাহা, সম্পাদক মতিয়ারা চৌধুরী মিনু, নগর সদস্য সচিব মোঃ শহীদুননবী ডাবলু, জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের সাধারণ সম্পাদক মোঃ হুমায়ূন কবির বেপারী, ন্যাপ নগর যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ আনছার রহমান শিকদার, সদস্য মোঃ বিল্লাল হোসেন, সোলায়মান সোহেল, মোঃ আবদুল্লাহ আল-কাউছারী প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, ভাষা সৈনিক আজীবন দেশের জন্য, মানুষের জন্য, সাধারণ মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য লড়াই করেছেন, সংগ্রাম করেছেন, কথা বলেছেন। এক কথায় ভাষা মতিন ছিলেন দুঃসাহসী ও মানবতাবাদী রাজনীতিবিদ। তিনি বলেছেন, ইসলামী জঙ্গিবাদের নামে বিশ্বব্যাপী আমেরিকার দখলদারিত্ব চলছে। বাংলাদেশেও তাদের যুদ্ধ সন্ত্রাস প্রবেশ করছে। কারণ এ সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে বাংলাদেশকে বিপদজনক পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিয়েছে।গণতন্ত্র খর্ব করে মানুষের অধিকার হরণ করেছে। সমাজে ধর্মীয় বিভাজন তৈরি করেছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকে গণতন্ত্রের বিপরীতে দাঁড় করিয়েছে। তারা সব কিছুই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিপরীতে করছে। এই অবস্থা থেকে দেশকে মুক্ত করতে ভাষা মতিনের আপোষহীন জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহন করতে হবে। তিনি বলেছেন, জাতীয় ইতিহাসের বিভিন্ন স্তরে মানব সমাজের প্রয়োজন অনুসারে বিভিন্ন প্রতিভার জন্ম হয়। ভাষা সৈনিক আবদুল মতিনের আবির্ভাবও একটি ঐতিহাসিক পটভূমিতে। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের পটভূমিতে বাংলার মানুষকে অধিকার আদায়ের সংগ্রামে অনুপ্রানীত করেছিলেন।
সভাপতির বক্তব্যে সৈয়দ শাহজাহান সাজু বলেছেন, ভাষা সৈনিক আবদুল মতিন একজন আদর্শ রাজনীতিক। তার প্রথম জীবন থেকেই তিনি সাধারন মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য কাজ করতেন। তার সংগ্রামী জীবন, বিদ্রোহী চেতনা ঘুমঘোরে আচ্ছন্ন জাতিকে অধিকার আদায়ের অনুপ্রেরনা যোগায়।