Tue. Oct 21st, 2025
Advertisements

8খোলা বাজার২৪, শুক্রবার, ৪ ডিসেম্বর ২০১৫ : এবারও জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে বাংলাদেশের ‘শান্তির সংস্কৃতি’ প্রস্তাবনা সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে। সাধারণ পরিষদের এক সভায় বৃহস্পতিবার উপস্থিত সব সদস্য রাষ্ট্রের সমর্থনে এ প্রস্তাব গৃহীত হয়। ২০০১ থেকে প্রতি বছর জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন এ প্রস্তাবটি উপস্থাপন করে আসছে এবং তা প্রতিবছরই সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়ে আসছে।
‘শান্তির সংস্কৃতি’র এ প্রস্তাবটি ১৯৯৯ সালে প্রথম উপস্থাপিত হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ‘শান্তির সংস্কৃতি দশক’ বিশ্বব্যাপী উদযাপিত হয়। এতে বাংলাদেশের পক্ষে নতুন দায়িত্ব পাওয়া স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন সব কো-স্পন্সর দেশের পক্ষ থেকে প্রস্তাবনাটি উপস্থাপন করেন। এ বছরের এ প্রস্তাবের মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘অসহিষ্ণুতা ও ঘৃণা’ সমাজ থেকে দূরীভূত হলে বিশ্বে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে। যদিও এবারের প্রস্তাবে যুব শক্তি ও নারীর জন্য কর্ম প্রক্রিয়ার ভূমিকাকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
প্রস্তাব উপস্থাপনাকালে রাষ্ট্রদূত ও বাংলাদেশ মিশন প্রধান মাসুদ বিন মোমেন বলেন, মানুষের জন্য স্থায়ী শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার জন্য জাতি-ধর্ম-বর্ণ ও গোষ্ঠী নির্বিশেষে সকলের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ বাড়াতে হবে। শিক্ষার প্রসার এবং একদর্শী চিন্তাধারার পরিবর্তন করে মানুষের সামগ্রিক উন্নয়ন, স্থিতিশীলতা ও শান্তি নিশ্চিত করা সম্ভব।এ সময়ে তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের নেওয়া দেশে শান্তির সংস্কৃতি বিকাশে বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন। তিনি নবলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান, সামাজিক ন্যায়বিচার, দারিদ্র্য, ক্ষুধা, বঞ্চনা ও আগ্রাসনমুক্ত একটি বিশ্ব ব্যবস্থা গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
জাতীয়ভাবে এ লক্ষ্য অর্জনে সরকার সন্ত্রাস ও উগ্রবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছে।সাধারণ পরিষদের সভাপতি তার উদ্বোধনী বক্তব্যে ‘শান্তির সংস্কৃতি’ প্রস্তাবনায় জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন।