Sun. May 4th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

2খোলা বাজার২৪, শনিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০১৫ : আসন্ন পৌর ভোট সুষ্ঠুভাবে শেষ করতে ৩৩ দফা কর্মপরিকল্পনার অর্ধেকের বেশি কাজ এরই মধ্যে সম্পন্ন করেছে করেছে নির্বাচন কমিশন।
বৃহস্পতিবার ২৩৫ জন রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে কমিশনের যে ‘অ্যাকশন প্ল্যান’ পাঠানো হয়েছে; তাতে দেখা গেছে, ভোটকেন্দ্রের চূড়ান্ত তালিকার গেজেট প্রকাশ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনসহ ডজনেরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ কাজ বাকি আছে।
প্রথমবারের মতো দলভিত্তিক স্থানীয় সরকারের এ ভোটের জন্য কর্মপরিকল্পনা ধরেই কাজ এগোচ্ছে বলে নির্বাচন কমিশনের উপ-সচিব সামসুল আলম জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “কর্মপরিকল্পনা অনুমোদনের পর অগ্রাধিকারভিত্তিতে সব কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। সুচারুভাবে শেষ করতে সব ধরনের প্রস্তুতি রাখা হয়েছে।”
“আমাদের সামনে গুরুত্বপূর্ণ অন্তত একডজন কাজ বাকি রয়েছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা শেষ করে ভোটের ব্যবস্থা হবে। যখনই প্রয়োজন হচ্ছে ইসি ও সচিবালয়ের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত এলে তা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে,” বলেন সামসুল আলম।
গুরুত্বপূর্ণ এক ডজন
এরই মধ্যে ভোটার তালিকা ছাপানো, রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ, নিবন্ধিত দলকে চিঠি, ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিনিধির তালিকা সংগ্রহ, নির্বাচনী মালামাল সংগ্রহ, নির্বাচনী বরাদ্দ প্রণয়ন, প্রয়োজনীয় সামগ্রী মুদ্রণ, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স প্রস্তুত, নতুন নির্বাচনী ম্যানুয়াল মুদ্রণ, মাঠ পর‌্যায়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা সংক্রান্ত পরিপত্র জারি, সম্ভাব্য ভোকেন্দ্রের তালিকা সংগ্রহ, মনোনয়নপত্র জমাসহ গুরুত্বপূর্ণ কাজ শেষ করে এনেছে কমিশন।
ভোটকেন্দ্রের তালিকার গেজেট প্রকাশ, নির্বাহী ও বিচারিক হাকিম নিয়োগ, প্রার্থীদের হলফনামার তথ্য প্রচার, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের চূড়ান্ত তালিকা প্রস্তুত ও তাদের প্রশিক্ষণ, সাংবাদিক-পর‌্যবেক্ষকের অনুমতি, আইন শৃঙ্খলা বৈঠক, ট্রাইব্যুনাল নিয়োগ, ভোটের দিন ছুটি ঘোষণার ব্যবস্থা করা, মন্ত্রণালয় ও বিভাগে গুরুত্বপূর্ণ চিঠি পাঠানো, আচরণবিধি প্রতিপালন ও অভিযোগ নিষ্পত্তি, ব্যালট পেপার মুদ্রণ ও নির্বাচনী এলাকায় পাঠানো, ভোটগ্রহণ, নির্বাচিতদের গেজেট প্রকাশ ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানোর কাজ বাকি রয়েছে।
ভোটের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়- আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বৈঠক আগামী ১৯ ডিসেম্বর সকাল ১১ টায় রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব, আনসার-ভিডিপি, এপিবিএন, কোস্টগার্ডের শীর্ষ ব্যক্তি, সশস্ত্রবাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি, রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ বিভাগীয় ও আঞ্চলিক পুলিশের সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত থাকবেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার, চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব ভোট নিয়ে সার্বিক নির্দেশনা দেবেন বৈঠকে।
এরকম বাক্সেই হবে ভোটগ্রহণ এরকম বাক্সেই হবে ভোটগ্রহণ
নির্বাচন কমিশনের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বৈঠকে সবার মতামত নিয়ে ভোটকেন্দ্র ও নির্বাচনী এলাকাভিত্তিক মোবাইল-স্ট্রাইকিং ফোর্স মোতায়েন, নির্বাহী ও বিচারিক হাকিমের সদস্য সংখ্যা নির্ধারণ, কেন্দ্রের নিরাপত্তা সদস্য, মাঠে ক’দিন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা থাকবেন, তা নির্ধারণ করা হবে। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে পরিপত্র জারির নির্দেশনাও দেওয়া হবে।
রোব ও সোমবার বাছাইয়ের পর ১৩ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময়। পরদিন প্রতীক নিয়ে প্রচারে নামবেন প্রার্থীরা।
এর আগে সাড়ে তিন হাজার ভোটকেন্দ্রের চূড়ান্ত তালিকার গেজেট এরই মধ্যে প্রস্তুত হয়েছে। ২৬ ডিসেম্বর কেন্দ্র-ভোটার তথ্য মোবাইলে জানানোর সুযোগ দেওয়া হতে পারে।
২২ ডিসেম্বরের মধ্যে মেয়র প্রার্থীদের নাম-প্রতীক এবং নির্দলীয় কাউন্সিলরদের প্রতীকসহ ব্যালট পেপার ছাপানোর কাজ শেশে ২৬ ডিসেম্বর থেকে তা বিতরণ এবং ভোটের আগের দিন কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হবে।
এর আগে প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং, পোলিং কর্মকর্তাসহ ৬১ হাজারেরও বেশি ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার তালিকা ৮ ডিসেম্বর চূড়ান্ত করার পর ১৮ ডিসেম্বর তাদের নিয়োগের বিষয়টি শেষ করা হবে। এরপর ২০ ডিসেম্বর শেষ হবে তাদের প্রশিক্ষণ।
এছাড়া ২৪ ডিসেম্বর প্রার্থীদের হলফনামার তথ্যপ্রচার, ২৭ ডিসেম্বর পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকদের অনুমতি দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে নির্বাচন কমিশনের।
৩০ ডিসেম্বর ভোট শেষে ৩ জানুয়ারির মধ্যে সব ফলাফল সংগ্রহ করে ৪ থেকে ৭ জানুয়ারির মধ্যে তা গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে।
আর ১০ থেকে ১৫ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচিতদের গেজেট স্থানীয় সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে।