খোলা বাজার২৪,শনিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০১৫।।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) স্যার এএফ রহমান হলে মাহমুদুল হাসান তুষার নামে এক ছাত্রলীগ কর্মীকে প্রতিপক্ষ গ্রুপের কর্মীরা ৩ তলা থেকে নিচে ফেলে দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার রাত পৌনে ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আরো ৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। মাহমুদুল হাসান তুষার ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ছাত্র হলের ছাত্রলীগ কর্মীরা জানান, রাত পৌনে ৩টার দিকে হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমীনের অনুগত ছাত্রলীগকর্মী ইমরানসহ আরো কয়েকজন হলের ৫১২ নং কক্ষে অবস্থানকারী অন্য একটি গ্রুপের ছাত্রলীগ নেতা মাসুদকে ডেকে রুমের বাইরে নিয়ে আসে। এসময় কথাবার্তার এক পর্যায়ে মাসুদের সঙ্গে তর্কাতর্কি শুরু হয় রুহুলের অনুগত কর্মীদের। তর্কাতর্কির মাঝেই হঠাৎ করে আশপাশের কয়েকটি রুমে আগে প্রস্তুত হয়ে থাকা আরো কয়েকজন এসে মাসুদকে মারধর করতে থাকে। এসময় তারা তিন তলার কয়েকটি রুমে ব্যাপক ভাঙচুর করে। এক পর্যায়ে ৩০৩ নং রুমের দরজা ভেঙ্গে ঢুকে মাহমুদুল হাসান তুষারকে মারধর করতে করতে ৩তলা থেকে ধাক্কা দিয়ে নিচে ফেলে দেয়। একই সঙ্গে মাসুদের অনুসারীদের হল থেকে বের করে দেয়। তুষারের মাথা ফেটে যায় এবং মেরুদণ্ডে বড় ধরনের ফ্রাকচার হয়েছে বলে ডাক্তাররা জানিয়েছেন।এদিকে ছাদ থেকে ফেলে দেয়ার কথা অস্বীকার করেছে ছাত্রলীগের রুহুল গ্রুপের কর্মীরা। তুষার নিজেই তিন তলা থেকে লাফ দিয়েছেন বলে দাবি করেছে তারা।একটি সূত্র জানিয়েছে, ছাত্রলীগ নেতা মাসুদ আগে রুহুলের গ্রুপের কর্মী ছিলেন। তবে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সিলেট থেকে নির্বাচিত হওয়ায় মাসুদসহ বেশ কয়েকজন কর্মী সিলেট নামে একটি গ্রুপ করার চেষ্টা করে। রাতে রুহুলের অনুগত এবং একাধিক মামলার আসামি দুই ছাত্রলীগ কর্মী সংস্কৃত ও পালি বিভাগের তানভীর এবং ইতিহাস বিভাগের সাদ্দামকে মাসুদের নিয়ন্ত্রিত একটি রুমে জোর করে সিট বরাদ্দ দেয়া নিয়েই বিরোধের সূত্রপাত।ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতারা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং তাড়িয়ে দেওয়া কর্মীদের হলে উঠিয়ে দিয়ে যান।শনিবার সকালে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ এবং সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন আহতদের দেখতে হাসপাতালে যান।