খোলা বাজার২৪, শনিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০১৫ : আসন্ন পৌর নির্বাচনে সরকার দলীয় প্রার্থীদের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছে বিএনপি। একই সঙ্গে যেসব এলাকায় আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়েছে সেসব এলাকার রিটার্নিং অফিসারদের প্রত্যাহারের পাশাপাশি নির্বাচনের নতুন তফসিল ঘোষণার দাবি জানিয়েছে দলটি।
নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন বিএনপির মুখপাত্র ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন।
তিনি বলেন, যেসব নির্বাচনী এলাকায় আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়েছে, সেখানে যারা সরকারের ইশারায় দায়িত্ব পালন করছেন তাঁদের দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করতে হবে। তা নাহলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। আমাদের দাবির প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন কি ব্যবস্থা নেন দেখতে চাই।
আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, ঢাকার ধামরাই, ময়মনসিংহের গৌরিপুর, ভোলার দৌলতখান, যশোরের কেশবপুর, বরগুনার বেতাগী পৌরসভা নির্বাচনী এলাকায় আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে।
তিনি আরো বলেন, শাসক দলের নিরপেক্ষতার অভাবে নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু হবে কি না এই নিয়ে জনগণের মনে সংশয় রয়েছে। নির্বাচন কমিশন নিত্য-নতুন সংশোধনী এনে নির্বাচনের পরিবেশকে আরও কঠিন করে তুলেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
মনোনয়নপত্র জমা দানে বাধা, কোন কোন জায়গার মনোনয়নপত্র ছিঁড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে- এমন অভিযোগ করে বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, ফেনী সদর, দাগনভূঁইয়া, পরশুরাম পৌরসভার ৩৩টি কাউন্সিল পদে অন্য কাউকে মনোনয়ন জমা দিতে দেয়নি সরকার দলীয় সন্ত্রাসীরা। তিনি বলেন, আমরা আগেই সার দেশে গণগ্রেপ্তার বন্ধের দাবি জানিয়েছিলাম। কিন্তু কোন লাভ হয়নি। জামালপুর জেলার ৭টি উপজেলা থেকে বৃহস্পতিবার যৌথবাহিনী ৮৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এতে এলাকায় নির্বাচনের পরিবর্তে গ্রেপ্তার আতঙ্ক বিরাজ করছে। এছাড়া নীলফামারীতে ৪৭ জন, সাতক্ষীরায় ৩৫ জন, চট্টগ্রামে ৬৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা আবদুস সালাম আজাদ, আবদুল লতিফ জনি, শামীমুর রহমান শামীম, আসাদুল করিম শাহীন।