Sun. May 4th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

4খোলা বাজার২৪, রবিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০১৫ : জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে বৈষম্যমুক্ত সমাজ নির্মাণের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেছেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।

‘সমগ্র বিশ্বে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জন নিয়ে যত আলোচনা সেখানে মূল কথাটা হচ্ছে শুধু প্রবৃদ্ধির হার বৃদ্ধি করে অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করলে হবে না। সমাজে যারা পশ্চাদপদ অনগ্রসর জনগোষ্ঠী তাদেরকে তুলে আনতে হবে। তাদের অধিকারগুলো নিশ্চিত করতে হবে। যতক্ষণ না তাদের তুলে আনতে পারবো, মূল ধারার সাথে সম্পৃক্ত করতে না পারবো ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে সফল হবো না’। তিনি আজ রাজধানীর বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশন (বিএমএ) মিলনায়তনে আয়োজিত এক সমাবেশে একথা বলেন।

‘বিশ্ব মর্যাদা দিবস ২০১৫’ উদযাপন উপলক্ষে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ হরিজন ঐক্য পরিষদ, বাংলাদেশ দলিত পরিষদ ও এনএনএমসি যৌথভাবে এ সমাবেশের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহি পরিচালক শাহীন আনাম, ঢাকা মহানগর পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি জে এল ভৌমিক, হেকস এর কান্ট্রি ডিরেক্টর অনিক আজাদ, বাংলাদেশ হরিজন ঐক্য পরিষদের মহাসচিব নির্মল চন্দ্র দাস প্রমুখ। বাংলাদেশ দলিত ঐক্য পরিষদের সভাপতি বাবু কৃষ্ণলাল দাস অনুষ্ঠানে সভাপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, পবিত্র সংবিধানে একটি শোষণমুক্ত, দারিদ্রমুক্ত ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার কথা বলা হয়েছে। তাই সমাজের নানা ক্ষেত্রে যে বৈষম্য সেসব বৈষম্য দূরীকরণে সংবিধান কোন বাধা নয়। এগুলো মানুষ সৃষ্টি করেছে। এসমস্যা সমাধানে আইন অবশ্যই কাজ করে। তার সাথে সমাজে সবার মর্যাদা প্রতিষ্ঠা ও দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করতে হবে। তিনি বলেন, সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পাশাপাশি আগামী ১৫ বছরে দেশকে উন্নত দেশে পরিণত করতে হলে সমাজের বৈষম্যগুলোকে আগে এ্যাড্রেস করতে হবে। সেটা নারী পুরুষের বৈষম্য হোক কিংবা অনগ্রসর জনগোষ্ঠির সাথে বৈষম্য হোক। অনগ্রসর জনগোষ্ঠীকে পেছনে রেখে কোনোভাবেই উন্নয়ন লক্ষ্যকে অর্জন করা সম্ভব নয়।

স্পিকার সমাজে সব ধরনের বৈষম্য দূর করতে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমরা যদি সামগ্রিক উন্নয়ন চাই, বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই এবং বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশের পরিণত করতে চাই তাহলে আমাদের যারা পিছিয়ে পড়া প্রান্তিক জনগোষ্ঠী রয়েছে তাদের অধিকারগুলো নিশ্চিত করতে হবে। অনুষ্ঠানে বক্তারা ‘বৈষম্য বিলোপ আইন ২০১৫’ জাতীয় সংসদে পাশ করানোর আহ্বান জানান। তারা বলেন, দলিত সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠী নানা ধরনের বৈষম্যের শিকার হন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ থাকা সত্বেও সমাজের সকল ক্ষেত্রে তাদের জন্য নির্ধারিত সুযোগ সুবিধা তারা পান না। এজন্য একটি আইন হলে তারা অধিকার আদায়ে আইনের আশ্রয় নিতে পারবে। দলিত নেতৃবৃন্দ শিক্ষা, স্বাস্থ্য, চাকুরি সকল ক্ষেত্রে বৈষম্য বিলোপ করতে স্পিকারের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানান। বাংলাদেশের সব মানুষ যেন মানবিক মর্যাদা নিয়ে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখার জন্যও তারা আহ্বান জানান।