খোলা বাজার২৪, রবিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০১৫ : মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চিকে ‘ভবিষ্যৎ নেতা’ হিসেবে দেখছেন দেশটির সাবেক সেনাশাসক থান সুয়ে। এক গোপন বৈঠকে সু চির প্রতি ‘সমর্থন’ জানিয়েছেন তিনি।
আজ রোববার বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়, জেনারেল থান সুয়ের নাতি নেই সুয়ে থোউ অং এমনটাই জানিয়েছেন।
সু চি ও থান সুয়ের মধ্যকার গোপন বৈঠকটি গত শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয় বলে বলা হচ্ছে। থান সুয়ের নাতির মাধ্যমেই বৈঠকের বিস্তারিত তথ্য প্রকাশিত হয়। তিনি মধ্যস্থতা করেছেন।
ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে নেই সুয়ে বলেন, দুজনের মধ্যে প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে বৈঠক হয়েছে।
মিয়ানমারে গত মাসে অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক সাধারণ নির্বাচনে সু চির ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) বিপুল বিজয় অর্জন করেছে। দলটি প্রায় ৮০ শতাংশ আসন পেয়েছে।
এখন নতুন সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা চলছে। দেশটির সেনা-সমর্থিত প্রেসিডেন্ট থেইন সেইন ও প্রভাবশালী সেনাপ্রধান জেনারেল মিন অং হলাইংয়ের সঙ্গে গত সপ্তাহে বৈঠক করেন সু চি। আলোচনাকে ‘উষ্ণ ও খোলামেলা’ বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
এবার সু চি বৈঠক করলেন সাবেক সেনাশাসক থান সুয়ের সঙ্গে।
বিবিসি জানিয়েছে, ৮০ বছর বয়সী থান সুয়ে দীর্ঘ সময় ধরে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের প্রধান ছিলেন। তিনি ২০১১ সালে সেনাপ্রধানের পদ ছাড়েন। ওই সময় দেশটির সামরিক সরকার একটি কথিত বেসামরিক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে। জেনারেল থান সুয়ের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত থেইন সেইন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেন। পদ ছাড়লেও থান সুয়ের এখনো ব্যাপক প্রভাব রয়েছে বলে মনে করা হয়।
থান সুয়ের উদ্ধৃতির বরাত দিয়ে তাঁর নাতি বলেছেন, সাবেক জেনারেল বলেছেন, ‘নির্বাচনে জয়ের পর অং সান সু চি যে মিয়ানমারের ভবিষ্যৎ নেতা হবেন—এই বাস্তবতা সবাইকে স্বীকার করতে হবে।’
সু চিকে এই ‘ভবিষ্যৎ নেতা’ বলতে আসলে কী বোঝানো হয়েছে, তা স্পষ্ট নয়।
এ ছাড়া সু চি দেশের উন্নয়নে সত্যিকার অর্থেই কাজ করলে তাঁকে নিজের সাধ্যমতো সমর্থন জানানোর কথাও থান সুয়ে বলেছেন বলে তাঁর নাতির ভাষ্য।
গত মাসে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর সু চিকে সুষ্ঠুভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের আশ্বাস দেন মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট ও সেনাপ্রধান। আগামী জানুয়ারিতে বর্তমান পার্লামেন্টের মেয়াদ শেষ হবে। এরপর এনএলডির প্রাধান্যপুষ্ট পার্লামেন্টের কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা। সাংবিধানিক বিধিনিষেধের কারণে সু চির প্রেসিডেন্ট হওয়া অসম্ভব।