Tue. Apr 22nd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements
rajshahiখোলা বাজার২৪, রবিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০১৫ : তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে  (রাবি) শাখা ছাত্রলীগের ২ গ্রুপের মধ্যে মারামারি ও আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শনের ঘটনা ঘটেছে।রোববার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় মমতাজ উদ্দিন কলা ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটেছে।এদিকে ক্যাম্পাসে হঠাৎ করে ছাত্রলীগের মধ্যে এমন অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ায় বিশ^বিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।তবে পরিবেশ শান্ত করার জন্য ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়োন করা হয়েছে।জানা যায়, ইতিহাস বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ কর্মী রবিউল ইসলাম রবি ডীনস ও মামতাজ উদ্দিন কলা ভবনের মধ্যে বসে ভর্তি ইচ্ছু এক শিক্ষার্থীর আবেদন পত্র পূরণ করছিল।
এসময় আর্থনীতি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রাশেদুল ইসলাম রকিসহ তার কয়েকজন সহপাঠি ভর্তিচ্ছু মনে করে তাকেসহ অন্যদেরকে জেরা করতে শুরু করে।এক পর্যায়ে রবি প্রতিবাদ করলে ক্ষিপ্ত রকিসহ তার সহপাঠিরা রবির সঙ্গে থাকা রাশেদ, সাজিবকে মারধর করে। এতে রবির ঠোট ও মাথার সামান্য কিছু অংশ কেটে যায়। পরে বিষয়টি বিশ^বিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া-সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু গ্রুপের ছাত্রলীগ কর্মী ও সমাজকর্ম বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সদরুল আনাম সুস্ময়কে জানালে, তাঁর নেতৃত্বে রাশেদ, সোহাগ, সজিব যেয়ে রকিকে এলোপাথাড়ি কিল-ঘুষি মারতে থাকে।
রকিকে মারধরের এক পর্যায় সভাপতি গ্রুপের নেতা ও বঙ্গবন্ধু হলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব হোসেন সুস্ময়কে লক্ষ্য করে আগ্নে অস্ত্র বের করে। এমনকি তাকে শাসিয়ে বলে তুই মারধর বন্ধ না করলে তোকে গুলি করতে আমি বাধ্য হব।
এসময় সুস্ময়ও তার কাছে থাকা দেশিয় ধারালো অস্ত্র বের করে। এনিয়ে সভাপতি রানা গ্রুপ ও রুনু-কিবরিয়া গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনার এক পর্যায়ে পুলিশ ও প্রক্ট্ররিয়াল বডির সদস্যরা পরিবশে শান্ত করে।এ ঘটনার উভয় গ্রুপের উত্তেজনা বিরাজ করছে, যেকোন সময় সংঘর্ষ ঘটতে পারে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাশেদুল ইসলাম রকি বলেন, আমি ও আমার একজন ছোট বোন মিলে ডিনস কমপ্লেক্সের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলাম। এসময় বসে থাকা শিক্ষার্থীদের জিজ্ঞাসা করছিলাম আজকে কোন বিষয়ে ভাইভা হচ্ছে।
কিন্তু তারা আমার প্রশ্নের জবাব না দিয়ে আমাকে উল্টো বলে আমরা আপনাকে চিনি না আপনাকে কেন জবাব দিব? পরে সেখানে সবাই মিলে আমাকে মারে।
আবার পরবর্তীতে সুস্ময় ও রাবিজ মিলে দ্বিতীয় দফায় ব্যাপক মারধর করে।
রাবিউল ইসলাম রবি বলেন, আমার এক বন্ধুর ভর্তিচ্ছুকে ভর্তির কাজে সহযোগিতা করছিলাম। এসময় রকি আমাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করলে, আমি এর প্রতিবাদ করায় আমাকেসহ বন্ধুদের মারধর করে।
পরে বিষয়টি মীমাংসার জন্য গেলে রাজীব হোসেন পিস্তল বের করে আমাদেরকে হুমকি দেয়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান রানা ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক খালিদ হাসান বিপ্লবের সঙ্গে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাঁরা ফোন রিসিভ করেননি।