খোলা বাজার২৪, রবিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০১৫ : বড্ড দুঃসময়েই পেয়েছেন দায়িত্ব। মুশফিকুর রহীমকে সরিয়ে সিলেট সুপার স্টার্সের অধিনায়ক পাকিস্তানের তারকা অলরাউন্ডার শহীদ আফ্রিদি। অধিনায়কত্বের প্রথম ম্যাচেই ঝলক দেখালেন আফ্রিদি। ৫৮ রানে অলআউট করলেন গেইলের বরিশাল বুলসকে। তার দল পেল ৯ উইকেটের দাপুটে জয়। রেকর্ড গড়া ম্যাচে আফ্রিদিও রেকর্ডের মালিক হলেন। বিপিএলে এক ইনিংসে চার ওভার বল করে সবচেয়ে কম রান দেয়ার রেকর্ড এখন আফ্রিদির।
রোববার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন সিলেট অধিনায়ক আফ্রিদি। এই সিদ্ধান্ত যে ফ্লুক ছিল না, তা প্রমাণ করেন সিলেটের বোলাররা, সঙ্গে অধিনায়ক আফ্রিদি নিজেও। দ্রুতই উইকটে পড়তে থাকে বরিশালের। বল হাতে যেন রুদ্রমূর্তিতে আবির্ভূত হয়েছিল সিলেটের বোলাররা।
তবে অধিনায়ক আফ্রিদি বল হাতে ছিলেন বড্ডই কৃপণ। ৪ ওভারে দিয়েছেন মাত্র ৫ রান। যা বিপিএলে সবচেয়ে কম রান দেয়ার নতুন রেকর্ড। একই সঙ্গে নিয়েছে দুটি উইকেটও। আগের রেকর্ডটি ছিল জ্যাকব ওরামের। গত বিপিএলে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সের বিপক্ষে ৪ ওভারে ৭ রান দিয়েছিলেন চিটাগং কিংসের কিউই এই অলরাউন্ডার। সেই রেকর্ড প্রায় ভেঙ্গে যাচ্ছিল এবার বোপারার কল্যাণে। চলতি বিপিএলেই রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ৪ ওভারে ৮ রান দিয়েছিলেন সিলেটের ইংলিশ ক্রিকেটার রবি বোপারা।
রোববার এই বোপারাও বল হাতে ঝলসে উঠেছিলেন বরিশালের বিরুদ্ধে। সেরা বোলিং ফিগার তারই। চার ওভারে রান দিয়েছেন মাত্র ১২, উইকেট নিয়েছেন তিনটি। পাক পেসার সোহেল তানভিরও কম যাননি। তিন ওভারের মধ্যে এক ওভারই তার মেডেন। রান দিয়েছেন ৯, উইকেট একটি। রুবেলও খারাপ করেননি। দুই ওভারে ছয় রান দিয়ে পেয়েছেন দুটি উইকেট। তবে আজ সিলেটের সবচেয়ে খরুচে বোলার মোহাম্মদ শহীদ। তিন ওভারে রান দিয়েছেন ২৩, তবে পুষিয়ে দিয়েছেন দুটি উইকেট নিয়ে।
সব মিলিয়ে টি২০ ক্রিকেটে ৪ ওভার বোলিং করে সবচেয়ে মিতব্যয়ী বোলিংয়ের রেকর্ড দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার ক্রিস মরিস ও শ্রীলঙ্কান পেসার চানাকা ভেলেগেদারার। গত বছরের নভেম্বরে কেপ কোবরাসের বিপক্ষে লায়ন্সের হয়ে ৪ ওভারের তিনটিই মেডেন নিয়েছিলেন মরিস, ২ রান দিয়ে নিয়েছিলেন ২ উইকেট। আর ভেলেগেদারার ৪ ওভারে মেডেন ছিল দুটি, শ্রীলঙ্কার ঘরোয়া ক্রিকেটে ২ রানে নিয়েছিলেন ৪ উইকেট