Sat. May 3rd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

60খোলা বাজার২৪, সোমবার, ৭ ডিসেম্বর ২০১৫: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ বলেছেন, শুধুমাত্র পুলিশ-বিজিবি দিয়ে বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ নির্মূল করা ‘অসম্ভব’ দাবি তিনি বলেন,সরকার যদি গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেয়, জঙ্গিবাদ বাংলাদেশ থেকে চলে যাবে। জঙ্গি বা উগ্ররা নিষ্ক্রিয় হয়ে যাবে।

সোমবার বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে সাবেক প্রধানমন্ত্রী আতাউর রহমান খানের ২৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আতাউর রহমান খান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভা তিনি এসব কথা বলেন।

মওদুদ তার বক্তব্যে ব্যাখ্যা করে বলেন “সরকারে যদি জনগণের অংশদারিত্ব থাকে, দেশ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকে, তাহলে কখনও উগ্রবাদীরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে না।” “আর তারা (উগ্রবাদীরা) যদি মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে, তাহলে জনগণই তাদের মোকাবেলা করবে, নির্মূল করবে। বাংলাদেশে তালেবান, আইএস বা সন্ত্রাসীবাদের উত্থান বিএনপিও দেখতে চান না বলে মন্তব্য করেন দলটির এই জ্যেষ্ঠ নেতা।

তিনি আরো বলেন, “এটা যদি প্রতিহত করতে হয়, আপনারা (সরকার) যে পথে যাচ্ছেন- সেটা ভুল পথ। আপনারা অন্যদের দোষারোপ করে নিজেরা চেষ্টা করছেন একটা শক্তির মাধ্যমে সেটা মোকাবেলা করতে, তা সম্ভবপর হবে না।”

এর বদলে সরকারের পক্ষ থেকে জঙ্গি দমনে ‘সম্মিলিত উদ্যোগ’ নেওয়া হলে তাতে বিএনপিও সাড়া দেবে বলে মন্তব্য করেন মওদুদ।
“অবিলম্বে সরকারের উচিৎ হবে সর্বদলীয় অর্থাৎ সকল গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলসমূহকে ঐক্যবদ্ধ করা, আহ্বান করা- আসুন আমরা সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে জঙ্গিবাদ প্রতিহত করি। “আমরা বিএনপির পক্ষ থেকে বলতে চাই, এ ধরনের কোনো উদ্যোগ সরকার গ্রহণ করলে, আমরা সেই উদ্যোগে সাড়া দেব, সরকারকে সহযোগিতা করব।”

আসন্ন পৌর নির্বাচন মওদুদ বলেন, “আমরা মনে করি, পৌর নির্বাচন সরকারের জন্য একটি অগ্নিপরীক্ষা হবে। এই নির্বাচন যদি সুষ্ঠু হয়, তাহলে বিএনপির ধানের শীষ বিপুল ভোটে জয়লাভ করবে। মওদুদ যোগ করে আরো বলেন, নির্বাচন কমিশনকে আমরা ছেড়ে দিয়েছি। আমরা জানি, তারা কী ধরনের প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। পৌরসভা নির্বাচনে যদি ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মতো ব্যবহার করেন, তাহলে সরকারের সাধারণ নির্বাচন করার যতটুকু বাসনা মনের মধ্যে আছে, তা কোনোদিন পূরণ হবে না।”

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক প্রয়াত আতাউর রহমান খানের মেজ ছেলে জিয়াউর রহমান খান, প্রচার সম্পাদক জয়নুল আবদিন ফারুক, সাংবাদিক আমানউল্লাহ কবীর, আতাউর রহমান খান ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এম এ জলিল, অ্যাডভোকেট মনির হোসেন, সৈয়দ জহির প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।