
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চে আজ মঙ্গলবার এই আপিলের ওপর শুনানি শেষ হয়। পরে রায় ঘোষণার তারিখ ধার্য করেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত।
আজকের শুনানিতে আসামিপক্ষ যুক্তি খণ্ডন করে। যুক্তি খণ্ডন করেন আসামিপক্ষের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন। এর মধ্য দিয়ে নিজামীর আপিলের শুনানি শেষ হয়। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
গতকাল সোমবার নিজামীর আপিলের ওপর রাষ্ট্রপক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শেষ হয়। রাষ্ট্রপক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন অ্যাটর্নি জেনারেল। তিনি নিজামীর সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখার আরজি জানান।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার দায়ে গত বছরের ২৯ অক্টোবর নিজামীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনালে তাঁর বিরুদ্ধে গঠন করা ১৬টি অভিযোগের মধ্যে আটটি প্রমাণিত হয়। এর মধ্যে চারটি অভিযোগে তাঁকে সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হয়।
রায়ে ট্রাইব্যুনাল বলেন, নিজামী ছিলেন জামায়াতের তৎকালীন ছাত্রসংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘের সভাপতি। ছাত্রসংঘই পরে আলবদর বাহিনীতে পরিণত হয়, আর গুপ্তঘাতক আলবদর বাহিনীই মুক্তিযুদ্ধের শেষ দিকে পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে মিলে বুদ্ধিজীবী নিধন চালায়। আলবদর বাহিনীর অপরাধ ও কৃতকর্মের দায়দায়িত্ব নেতা হিসেবে নিজামীর ওপর বর্তায়।
ট্রাইব্যুনালের ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন নিজামী। গত ৯ সেপ্টেম্বর আপিলের শুনানি শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ২ ডিসেম্বর আসামিপক্ষ যুক্তি উপস্থাপন শেষ করে। ওই দিন আসামিপক্ষ যুক্তি উপস্থাপনকালে নিজামীর সাজা কমানোর আরজি জানায়। এরপর গতকাল রাষ্ট্রপক্ষ যুক্তি উপস্থাপন শেষ করে। আজ আসামিপক্ষের যুক্তি খণ্ডনের মধ্য দিয়ে নিজামীর আপিল মামলার কার্যক্রম শেষ হলো।