Thu. Mar 13th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

24খোলা বাজার২৪,মঙ্গলবার, ৮ ডিসেম্বর ২০১৫: জ ক্রিকেট হলো রানের খেলা। দিনের শেষে খেলাটি নিয়ে যত কথাই বলা হোক না কেন, শেষ পর্যন্ত সবাই রানের খেলাই দেখতে আসেন। আর টি-টোয়েন্টির যুগে তো ক্রিকেট মানেই রান বন্যা, ক্রিকেট মানেই ধুম ধাড়াক্কা, মারকাটারি ব্যাটিং। টেস্টেও এর প্রভাব পড়ছে। এক সময় টেস্টে ওভার পিছু চার রানটাকে ‘আদর্শ’ বানিয়েছিলেন স্টিভ ওয়াহর প্রবল প্রতাপশালী অস্ট্রেলিয়া। এখন ওভারে চার রান এক রকম নিয়মই হয়ে গেছে।

সেই যুগে এসেই দক্ষিণ আফ্রিকা এমন একটা ইনিংস খেলল, যেটি শ্লথ ব্যাটিংয়ের উদাহরণ হিসেবে দীর্ঘ দিনই হয়তো টেনে আনা হবে। দিল্লি টেস্টের শেষ ইনিংসে যে দক্ষিণ আফ্রিকা যত ওভার খেলেছে, রান তুলেছে তার চেয়েও কম! ১৪৩.১ ওভার খেলা হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকা রান তুলেছে ১৪৩। ওভার সংখ্যার চেয়ে রান কম! ঢিমে তালে খেলা টেস্টের স্বর্ণযুগেও এমনটা কোনো দল করতে পারেনি। কমপক্ষে ১০০ ওভার খেলা হয়েছে এমন ইনিংসগুলো এটাই একমাত্র উদাহরণ, যেখানে ওভার সংখ্যার চেয়ে রান সংখ্যা কম!

এর আগে ১০০ ওভার কিংবা তার বেশি খেলে ‘হাড় কেপ্পন’ রান তোলার আরও অনেক নজির আছে। কিন্তু ওভারের চেয়ে রান কম—এমনটা ঘটেনি। সবচেয়ে কাছাকাছি গিয়েওছিল কয়েকটি দল। ভারত ১৯৬২ সালে ব্রিজটাউন টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১৮৫.৩ ওভারে ১৮৭ রান করেছিল। ১৮৮৫ সালে অস্ট্রেলিয়া ২৭৪.১ ওভার ব্যাটিং করে করেছিল ২৭৯ রান! তবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মেলবোর্ন টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার ওই ইনিংসটিকে পিছিয়ে রাখতে হচ্ছে একটি কারণে। তখন ওভার ছিল চার বলের।

রেকর্ডের সীমাটা কমপক্ষে ১০০ থেকে ৫০ ওভারে নামিয়ে আনলে দক্ষিণ আফ্রিকার দিল্লি টেস্টের ইনিংসটি চলে যাচ্ছে দ্বিতীয়স্থানে। কমপক্ষে ৫০ ওভার ব্যাটিং করে ওভার সংখ্যার চেয়ে কম রান তোলার সেই রেকর্ডে জড়িয়ে আছে বাংলাদেশের নামও। ১৯৫৫ সালে ভবিষ্যৎ​ বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় পাকিস্তানের বিপক্ষে ৯০ ওভার ব্যাট করে ৬ উইকেট হারিয়ে ৬৯ রান করেছিল নিউজিল্যান্ড দল। সময় শেষ হয়ে যাওয়ায় আর ব্যাটিং করা হয়নি তাদের। না হলে শেষ পর্যন্ত কত ওভারে তারা কত রান তুলত কে জানে!

বাংলাদেশও কিন্তু এ রকম এক রেকর্ড প্রায় গড়েই ফেলেছিল। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২০০৮ সালে চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ইনিংসে ৪০ ওভার শেষ বাংলাদেশের রান ছিল ৩৯! ৪৩ ওভারে ৩৫ বলে ২ রান করা আশরাফুল যখন আউট হলেন তখনো স্কোর ছিল ৪৪। শেষ পর্যন্ত অবশ্য ১২২.১ ওভারে ২৪৫ করেছিল বাংলাদেশ।