Fri. Mar 14th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

26খোলা বাজার২৪,মঙ্গলবার, ৮ ডিসেম্বর ২০১৫: জ স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে নিষেধাজ্ঞা কাটিয়েছেন পাঁচ বছর, জেলও খেটেছেন। তবুও যেন নির্বাসন থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না মোহাম্মদ আমির। সাবেক ও বর্তমান অনেক পাকিস্তানি ক্রিকেটার তার বিরুদ্ধে অবস্থান করছেন। টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক আফ্রিদি একরকম বলে দিয়েছেন তাকে জাতীয় দলে না নিতে। হাফিজ আরও একধাপ এগিয়ে বলে দিয়েছেন তিনি কখনোই আমিরের সঙ্গে একই দলে খেলবেন না। আর আমিরের ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন টেস্ট অধিনায়ক মিসবাহ।

কিন্তু মজার ব্যপার হচ্ছে বিপিএলে আমিরের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়া এই তিন পাকিস্তানি তারকাই নিজেদের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছেন চিটাগাং ভাইকিংসের বিপক্ষে। আর স্বাভাবিকভাবেই সবাই আমিরের বল মোকাবেলা করেছেন। সবচেয়ে মজার ব্যপার এই তিনজন পাকিস্তানিই আমিরের বলে আউট হয়েছেন। এ যেন আমিরের মৌন প্রতিবাদ। পারফরমেন্সের বিচারে ব্যক্তিগত দ্বৈরথে সবার সঙ্গেই জয়ী হয়েছেন আমির।

ঢাকার মাঠে বিপিএলের প্রথম ম্যাচে রংপুর রাইডার্সের হয়ে ৬১ রান করে দারুণ ছন্দে ছিলেন মিসবাহ। সে ম্যাচে আমির বাড়তি বাউন্সের হালকা আউট সুইঙ্গার বল রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলতে গিয়ে বোল্ড হয়েছিলেন মিসবাহ। প্রায় একই রকম বলে একই ভাবে আউট হয়েছেন শহিদ আফ্রিদি। সে ম্যাচেও আফ্রিদি ৬২ রান করে দারুণ ছন্দে ছিলেন। আর এদিন উইকেটরক্ষকের হাতে তালুবন্দি করে ফিরিয়েছেন মোহাম্মাদ হাফিজকে।

আগের দিনই আমিরকে নিয়ে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি শাহরিয়ার খান বলেন, “আমিরকে জাতীয় দলে ফেরানোর ব্যাপারে নির্বাচকদের কোনো তাড়া নেই। কোনো সন্দেহ নেই যে আমির দারুণ পারফরম্যান্স করে আসছে। তবে তাকে আরো অনেক মনিটরিং করতে হবে। খুব শিগগিরই তাকে জাতীয় দলে ফেরানো হবে না।”

জাতীয় দলে হয়তো খুব শীঘ্রই ফিরতে পারছেন না আমির। তবে বল হাতে নিজের কাজ ঠিকই করে যাচ্ছেন। ধারাবাহিক পারফরমেন্স করে নিজের জাত চিনিয়ে যাচ্ছেন তিনি।

উল্লেখ্য, ২০১০ সালে লর্ডস টেস্টে ফিক্সিং কেলেঙ্কারির দায়ে মোহাম্মদ আসিফ ও সালমান বাটের সঙ্গে পাঁচ বছর নিষিদ্ধ হয়েছিলেন আমির। গত সেপ্টেম্বরে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আবার খেলায় ফিরেছেন।