খোলা বাজার২৪,মঙ্গলবার, ৮ ডিসেম্বর ২০১৫: জ মুসা যতটা গর্জে, আসলে তত না উল্লেখ করে দুদক চেয়ারম্যান মো. বদিউজ্জামান বলেছেন, দুদকের কাছে তিনি বিশাল জমি-জমার হিসাব দিয়েছেন। তবে কোনো জায়গাই তার দখলে নেই। আবার বিদেশে আটক ১২ বিলিয়ন ডলারের যে তথ্য দিয়েছেন, সেখান থেকে সে তথ্যও পাচ্ছি না। আবার সেও কিছু দিতে পারছেন না। আমরা খোঁজ-খবর নিয়ে দেখেছি, তেমন কিছু নেই। যতটা না করেছেন, তার চেয়ে বেশি বলেছেন তিনি। আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে দুদক চেয়ারম্যান এ কথা বলেন।
এদিকে দুদক সূত্রে জানায়, মুসা বিন শমসেরকে এর আগে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও তার কাছ থেকে সুইস ব্যাংকের হিসাব নম্বর জানা যায়নি। কমিশনে মুসার জমা দেওয়া সম্পদ বিবরণীতেও এ তথ্য নেই। সুইস ব্যাংকের ওই হিসাব নম্বর না পাওয়ায় সুনির্দিষ্ট তথ্য চেয়ে এমএলএআর পাঠাতে পারছে না দুদক। তাই শিগগিরই সুইস ব্যাংকের ওই হিসাব নম্বরটি জানতে তাকে আবারও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
বিজনেস ম্যাগাজিন ফোর্বস’র প্রতিবেদন বিবেচনায় নিয়ে প্রিন্স মুসার বিরুদ্ধে ২০১১ সালে অবৈধ সম্পদের অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। তবে অজ্ঞাত কারণে দুদকের ওই অনুসন্ধান আলোর মুখ দেখেনি। আবার তিন বছর পর ২০১৪ সালের শেষের দিকে ‘বিজনেস এশিয়া’ ম্যাগাজিনের প্রতিবেদন বিবেচনায় নিয়ে অবারও নতুন করে মুসার সম্পদের অনুসন্ধানে নামে দুদক। ২০১৪ সালের ৩ নভেম্বর দুদকের পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলীকে বিষয়টি অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তার প্রাথমিক অনুসন্ধানে মুসার বিরুদ্ধে স্বনামে/বেনামে বিপুল পরিমাণ জ্ঞাত আয়বহির্ভুত সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া গেলে চলতি বছরের ১৯ মে তার বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ জারি করে কমিশন।
নোটিশ অনুসারে চলতি বছরের ৭ জুন দুদকে সম্পদ বিবরণী জমা দেন মুসা বিন শমসের। সম্পদ বিবরণীতে তিনি সুইস ব্যাংকে তার ১২ বিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশি প্রায় ৯৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা- প্রতি ডলার ৭৮ টাকা হিসাবে) ফ্রিজ অবস্থায় থাকার কথা উল্লেখ করেন। সুইস ব্যাংকে ৯০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের (বাংলাদেশি প্রায় ৭০০ কোটি টাকা) অলংকার জমার তথ্য দিয়েছেন তিনি। এ ছাড়া দেশে তার সম্পদের মধ্যে গুলশান ও বনানীতে দুটি বাড়ি, সাভার ও গাজীপুরে এক হাজার ২০০ বিঘা জমির কথাও সম্পদ বিবরণীতে উল্লেখ রয়েছে।