Thu. Jun 19th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

52খোলা বাজার২৪,মঙ্গলবার, ৮ ডিসেম্বর ২০১৫: শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, সার্ক অঞ্চলের দেশগুলোতে দারিদ্র্যের হার কমার পাশাপাশি মধ্যম আয়ের জনগোষ্ঠীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। তিনি বলেন, ‘সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নের মাধ্যমে এই অঞ্চলের দেশগুলো আর্থসামাজিক অগ্রগতির ক্ষেত্রে অনেক দূর এগিয়েছে। মন্ত্রী আজ সার্কের ৩১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক মান সংস্থা আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করছিলেন। রাজধানীর তেজগাঁওয়ে দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক মান সংস্থা (সারসো) ভবনে অনুষ্ঠিত এই সভায় সারসো’র মহাপরিচালক ড. সৈয়দ হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্য শিল্পসচিব মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক (সার্ক) রাহাত বিন জামান, সারসোর পরিচালক ইন্দু বিক্রম জশী বক্তৃতা করেন।

অনুষ্ঠানে সার্কভুক্ত দেশগুলোর হাইকমিশনারসহ সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, শিল্প উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন। শিল্পমন্ত্রী জনগণের চাহিদা অনুযায়ী গুণগতমানের পণ্য ও সেবার যোগান দিতে সার্ক অঞ্চলে দ্বিপাক্ষিক বা বহুপাক্ষিক বিনিয়োগে শিল্প কারখানা স্থাপনের ওপর গুরুত্ব দেন। এর মাধ্যমে সার্কভুক্ত দেশগুলোতে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সহজ হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, সার্কভুক্ত দেশ ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ক্রমেই জোরদার হচ্ছে। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বিদ্যমান কারিগরি বাঁধা দূর করতে বাংলাদেশের জাতীয় মানসংস্থা বিএসটিআই এবং ভারতের বি আইএসের মধ্যে সম্প্রতি পারস্পরিক স্বীকৃতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, এ চুক্তির ফলে দু’দেশের গবেষণাগারের টেস্টিং রিপোর্ট উভয় দেশে বিনা প্রশ্নে গৃহীত হবে।

এতে রপ্তানি প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি বাণিজ্য ঘাটতি কমে আসছে। রপ্তানি বাণিজ্য জোরদারের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সার্কভুক্ত অন্যান্য দেশের সাথে একই ধরনের চুক্তি করতে আগ্রহী বলে তিনি জানান। আলোচনা সভায় অন্যান্য বক্তারা সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে আন্তঃবাণিজ্য বাড়াতে পণ্য ও সেবার অভিন্ন মান ব্যবস্থা গড়ে তোলার তাগিদ দিয়েছেন। বক্তারা বলেন, সার্ক অঞ্চলে ১ দশমিক ৭ বিলিয়ন মানুষ বাস করলেও বর্তমানে দেশগুলোর মধ্যে আন্তঃবাণিজ্যের পরিমাণ সম্মিলিত রপ্তানির মাত্র ৫ শতাংশ।

পণ্য ও সেবার গুণগতমান বাড়িয়ে সার্কভুক্ত দেশগুলো নিজেদের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধির পাশাপাশি বিশ্ববাজারে রপ্তানির প্রতিযোগিতায় সক্ষমতা অর্জন করতে পারে। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সারসো সার্ক অঞ্চলের দেশগুলোতে অভিন্ন মান নির্ধারণের জন্য ইতোমধ্যে ৩৬টি কমন প্রোডাক্ট চিহ্নিত করেছে। এর মধ্যে এ পর্যন্ত ৭টি পণ্যের মান চূড়ান্ত করা হয়েছে। খুব শিগগিরই এগুলো প্রকাশ করা হবে। বাকি পণ্যের মান তৈরিও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এসব অভিন্ন মান চালু হলে, সার্কভুক্ত দেশগুলোতে গুণগতমানের পণ্য সরবরাহ বৃদ্ধির পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাণিজ্যেও সার্ক অঞ্চলের অবস্থান শক্তিশালী হবে বলে আশা করা হচ্ছে।