খোলা বাজার২৪,মঙ্গলবার, ৮ ডিসেম্বর ২০১৫: রাজধানীর কদমতলীতে পয়োনিষ্কাশন নালায় পড়ে যাওয়ার প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা পর শিশু নীরবকে বুড়িগঙ্গার তীরে আরেক নালায় পাওয়া গেছে বলে ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে।
মঙ্গলবার রাত ৮টা ২৫ মিনিটের দিকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ মহাসড়কের পাশে বুড়িগঙ্গার তীরে শিশুটির ‘লাশ পাওয়া যায়’ বলে ফায়ার ব্রিগেডের উপ-পরিচালক মোজাম্মেল হক জানান।
“বুড়িগঙ্গার কাছে একটি নালায় বসানো জালে লাশটি আটকে ছিল,” বলেন তিনি।
অবশ্য চিকিৎকের বক্তব্য ছাড়া নীরবের মৃত্যুর বিষয়ে নিশ্চিত করে বলতে চাননি ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক মো. আলী হোসেন খান।
তিনি বলেন, “অচেতন অবস্থায় নীরবকে পাওয়া গেছে। তাকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। চিকিৎসকরাই বলতে পারবেন।”
কদমতলী থানার ওসি কাজী ওয়াজেদ আলী বলেছেন, “ঘটনাস্থল থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে শ্যামপুর বাজার সংলগ্ন সেনাকল্যাণ ঘাটের কাছে শিশুটিতে পাওয়া গেছে।”
ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি আলাউদ্দিন শিশুটির সন্ধান পান বলে ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা মোজাম্মেল জানান।
কদমতলীর শ্যামপুরের পালপাড়ায় বন্ধুদের সঙ্গে খেলার সময় বিকাল ৪টার দিকে নীরব ড্রেনে পড়ে যায় বলে পুলিশ ও তার স্বজনরা জানান।
নীরবকে উদ্ধারে বিকাল থেকে ঘটনাস্থল ও আশপাশের নালায় তল্লাশি চালান ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা। বাড়ি-ঘরের পাশ দিয়ে যাওয়া নালাটিতে কারখানার বর্জ্রের স্রোত রয়েছে।
নীরবের মা নাজমা বেগম সাংবাদিকদের বলেন, বিকালে বাড়ির পাশে খেলতে গিয়ে তার ছেলে পড়ে যান।
রাতুল নামের একটি ছেলে ধাক্কা দিলে নীরব নালায় পড়ে যায় বলে এক শিশু জানিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর রাজধানীর শাহজাহানপুরের রেল কলোনিতে ওয়াসার একটি পরিত্যক্ত নলকূপে জিহাদ নামে একটি শিশু পড়ে গেলে ২৩ ঘণ্টা উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে তার অবস্থান নিশ্চিত না হতে পেরে অভিযান শেষ করে ফায়ার সার্ভিস।
তার কয়েক মিনিটের মধ্যে স্থানীয়দের চেষ্টায় পাইপের ভেতর থেকে জিহাদকে তুলে আনা হয়। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।