Sat. May 3rd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

49খোলা বাজার২৪, বুধবার, ৯ ডিসেম্বর ২০১৫: পাঁচ বছর আগে রাজধানীর মহাখালী এলাকায় নাশকতা ও পুলিশ হত্যাচেষ্টার এক মামলায় বিএনপির পদত্যাগী নেতা সমশের মবিন চৌধুরীসহ ১২ জনের বিচার শুরুর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

ঢাকার মহানগর হাকিম লুৎফর রহমান শিশির বুধবার আসামিদের বিরুদ্ধে এ মামলায় অভিযোগ গঠন করে এ আদেশ দেন।

অভিযোগ গঠনের শুনানির এই দিন আসামিদের মধ্যে সমশের মবিন, বিএনপি নেতা আবুল কালাম আজাদ, মো. মোস্তফা, বাবুল সর্দারসহ ১০ জন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

অপর দুই আসামি হাজির না হওয়ায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জরি করেছে।

সমশেরসহ কয়েকজন আসামি নিজেদের ‘নির্দোষ’ দাবি করে মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন জানালে বিচারক তা নাকচ করেন।

বিচারক আগামী পহেলা মার্চ এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন রেখেছেন বলে জানিয়েছেন মামলায় সমশের মবিনের আইনজীবী জয়নাল আবেদিন মেসবাহ।

২০১০ সালের এই মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার এসআই গিয়াস উদ্দিন ২০১৪ সালের ৩০ এপ্রিল ১২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০১০ সালের ২৭ জুন বিএনপি-জামায়াত জোটের ডাকা হরতাল চলাকালে মহাখালী ওয়্যারলেস গেইট এলাকায় তৎকালীন বিএনপি নেতা সমশের মবিনসহ দলের শতাধিক কর্মী পুলিশের কাজে বাধা, গাড়ি ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।

সমশের মবিন ওই সময় কাজী আলাল নামে এক পুলিশ কনস্টেবলকে হত্যার উদ্দেশ্যে গলায় পা দিয়ে চেপে ধরলে তার জিভ বের হয়ে যায়।

এ ঘটনায় গুলশান থানার এসআই মোহাম্মদ আলী নাশকতা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা করেন।

মামলায় সমশের মবিনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগকে মিথ্যা বলে দাবি করেন তার আইনজীবী জয়নাল।

তিনি বলেন, “তার মক্কেল সমশেরের পক্ষে পুলিশ কনস্টেবল কাজি আলালকে হত্যার উদ্দেশ্যে গলায় পা দিয়ে জিভ বের করা সম্ভব না। সেই শারীরিক যোগ্যতা ও সাংস্কৃতিক মান তার নেই।

“অথচ মামলার এজাহারে তাই বলা হয়েছে। এটা একটা মিথ্যা মামলা।”

বীর বিক্রম খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা সমশের মবিন ২৯ অক্টোবর রাজনীতি ছাড়ার ঘোষণা দিয়ে বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেন।

এর আগে সামরিক বাহিনী ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সরকারি বিভিন্ন চাকরিতে দায়িত্ব পালনের পর ২০০৮ সালে তিনি বিএনপিতে যোগ দেন। সে সময় বিএনপি চেয়ারপারসনের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টার দায়িত্ব পান সমশের।

২০০৯ সালে বিএনপির কাউন্সিল হলে সমশের মবিনকে দলের ভাইস চেয়ারম্যান করা হয়। কখনও নির্বাচনে অংশ না নিলেও গত কয়েকবছর তিনি বিএনপির মূল ক্ষমতাকেন্দ্রের খুব কাছাকাছি ছিলেন।