Mon. May 5th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

61খোলা বাজার২৪, বৃহস্পতিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০১৫: পৌর নির্বাচনে নারী প্রার্থীদের জন্য সংরক্ষিত কিছু প্রতীক নিয়ে আপত্তি ওঠার পর আগামীতে সেগুলো বাদ দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

বৃহস্পতিবার শেরেবাংলা নগরে নির্বাচন কমিশনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এই আশ্বাস দেন কমিশন সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম।

“আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নারী প্রার্থীরা অপমানিত বোধ করেন- এমন প্রতীক রাখা হবে না। এ লক্ষ্যে বিধিমালা ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সংশোধন আনা হবে।”

বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের নজরে ছিল উল্লেখ করে সিরাজুল বলেন, “পৌর আইন ও বিধিমালা সংশোধন নিয়ে দ্রুত কাজ করতে হয়েছে। অসাবধানতাবশত এ ধরনের প্রতীক রয়ে গেছে।”

তফসিল ঘোষণা এবং কাউন্সিলর পদে ‘কমন’ ব্যালট পেপার ছাপা হয়ে যাওয়ায় এই মুহূর্তে প্রতীক পরিবর্তন করা সম্ভব নয় বলে সচিব জানান।

এবারের পৌর নির্বাচনে নারী প্রার্থীদের জন্য গ্যাসের চুলা, চুড়ি, পুতুল, ফ্রক, ভ্যানিটি ব্যাগ, কাঁচি, চকলেট, মৌমাছি, আঙুর ও হারমোনিয়াম প্রতীক হিসেবে রাখা হয়েছে।

আর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সংরক্ষিত আসনের সদস্য পদের জন্য রয়েছে কড়াই, গলার হার, চিরুনি, জবা ফুল, নূপুর, পাউরুটি, পেন্সিল কাটার, বিড়াল, বেগুন ও স্কুল ব্যাগ প্রতীক।

গত ফেব্র“য়ারিতে স্থানীয় সরকারের প্রতিটি নির্বাচনের জন্য আলাদা প্রতীক সংরক্ষণ করে গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এর পর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রতীক হিসেবে ‘গৃহস্থালী সামগ্রী’ রাখায় কমিশনের সমালোচনা করেন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থীরা।

ওই সময়ও কমিশন বলেছিল, কাউকে খাটো করার জন্যে এ ধরনের প্রতীক রাখা হয়নি। ভবিষ্যতে তা পরিবর্তনের বিষয়টি বিবেচনায় রাখা হবে।

নির্বাচন কমিশন নির্বাচন কমিশন কিন্তু পৌরসভা নির্বাচনে সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে প্রার্থীদের জন্য রাখা ১০টি প্রতীকের মধ্যে ‘গৃহস্থালী সামগ্রী’সহ কয়েকটি নিয়ে আপত্তি উঠেছে।
বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের সচিব সিরাজুল সাংবাদিকদের বলেন, “নারী প্রার্থীরা অপমানিত বোধ করবেন- এমন বলতে চাই না; তবে তারা যেন সন্তুষ্ট হন, প্রতীক নিয়ে সে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

আগামী নির্বাচনে সমালোচিত প্রতীকগুলো বাদ দিতে এর মধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনারও নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানান তিনি।

“সিইসি আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে পরবর্তী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের আগেই সমস্যার সমাধান করা যায়। এমন প্রতীক রাখা হবে এবং আমরা সজাগ থাকব, যেন প্রতীক নিয়ে নারী সমাজ সন্তুষ্ট থাকেন।”

এদিকে নারী প্রার্থীদের প্রতীক পরিবর্তনের দাবিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল।

সকালে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শিরীন সুলতানার নেতৃত্বে সাত সদস্যের প্রতিনিধি দল ইসি সচিব মো. সিরাজুল ইসলামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, সংরক্ষিত কাউন্সিলরদের জন্য বরাদ্দ করা প্রতীকগুলো অত্যন্ত লজ্জাজনক, দুঃখজনক ও অসম্মানজনক। এগুলো পরিবর্তনের যথাযথ উদ্যোগ নিয়ে নারী সমাজকে সম্মানিত করা হোক।