খোলা বাজার২৪, শুক্রবার, ১১ ডিসেম্বর ২০১৫: একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সুন্দরবন বিভাগের বন কর্মকর্তা ‘রাজাকার’ এ কে এম ইউসুফ আলমকে (৫৮) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত বুধবার গভীর রাতে র্যাব ও পুলিশ বাগেরহাটের সুন্দরবনের দুবলা এলাকায় যৌথ অভিযান চালিয়ে শরণখোলা রেঞ্জের স্টেশন কর্মকর্তা ইউসুফকে গ্রেপ্তার করে বলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আট রাজাকারকে গ্রেপ্তারের জন্য পরোয়ানা জারি করেন। এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এএসপি মো. রুহুল আমিন জানান, ইউসুফ জামালপুর সদর উপজেলার চাঁনহরিণাকান্দা গ্রামের আব্দুল খালেক মাস্টারের ছেলে। একাত্তরে তিনি মাদ্রাসার ছাত্র থাকা অবস্থায়ই আলবদর বাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে মুক্তাগাছায় হত্যা, গণহত্যা, নির্যাতন, বাড়িঘর লুটপাট, অগ্নিসংযোগসহ নানা অভিযোগ রয়েছে।
র্যাব-৮-এর উপ-অধিনায়ক মেজর আদনান কবির জানান, র্যাব ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে সুন্দরবনের দুবলা এলাকা থেকে এ কে এম ইউসুফ আলমকে গ্রেপ্তার করে শরণখোলা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। বাগেরহাটের শরণখোলা থানার ওসি মো. শাহ আলম মিয়া জানান, ট্রাইব্যুনাল বুধবার এ কে এম ইউসুফ আলমের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। পরে তাঁরা র্যাবের সহযোগিতা নিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করেন। তাঁকে আদালতে মাধ্যমে ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হবে বলে ওসি জানান।
মুক্তাগাছার তিন রাজাকার কারাগারে :
এদিকে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ময়মনসিংহ মুক্তাগাছার তিন রাজাকারকে কারাগারে পাঠিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।