Thu. Mar 13th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

42খোলা বাজার২৪, শুক্রবার, ১১ ডিসেম্বর ২০১৫ : জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে আরও চারজন সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণের পর শুনানির জন্য ২১ ডিসেম্বর পরবর্তী দিন রাখা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ঢাকার বকশীবাজারে তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতে চারজনের সাক্ষ্য শোনার পাশাপাশি দুর্নীতি দমন কমিশনের কর্মকর্তা নাজমুল আলমের জেরাও শেষ হয়।

মামলার অন্যতম আসামি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতেই সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা চলে।

এ নিয়ে মোট ৩০ জনের জবানবন্দি শেষ হওয়ায় জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ পর্যায়ে চলে এসেছে বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী মোশারফ হোসেন কাজল।

দিনের শুনানি শেষে বিচারক আবু আহমেদ জমাদার আগামী ২১ ডিসেম্বর মামলার পরবর্তী তারিখ রেখেছেন। আর জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার জেরা ও সাক্ষ্যগ্রহণের দিন রাখা হয়েছে ১৪ জানুয়ারি।

বৃহস্পতিবার দাতব্য ট্রাস্ট মামলায় সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা আবদুল গফুর, হারুন অর-রশীদ খান, হারুনুর রশীদ ফকির ও আমিন উদ্দিন আহমেদের জবানবন্দি নেওয়া হয়। এদের মধ্যে আমিন উদ্দিন এ মামলায় চেক লেনদেনের সাক্ষী।

এর আগে খালেদা জিয়ার আইনজীবী জয়নাল আবেদিন আদালতে সময়ের আবেদন জানিয়ে বলেন, “বিএনপি চেয়ারপারসন বাতের সমস্যার কারণে আদালতে আসতে পারেননি।”

বিচারক ওই আবেদন মঞ্জুর করে দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের আদেশ দেন।

জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট মামলায় খালেদা ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন- তার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব বর্তমানে বি আইডব্লিউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।

জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট মামলার আসামি মোট ছয়জন। খালেদা ছাড়া অন্য পাঁচজন হচ্ছেন- বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক সাংসদ কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, সাবেক মুখ্য সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।

জিয়া দাতব্য ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে ২০১০ সালের ৮ অগাস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা করা হয় ।

অন্যদিকে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় দায়ের করা জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বলা হয়, এতিমদের সহায়তা করার জন্য একটি বিদেশি ব্যাংক থেকে আসা দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করেন আসামিরা।

দুই মামলারই বাদী দুর্নীতি দমন কমিশনের তৎকালীন সহকারী পরিচালক হারুন অর-রশীদ খান।