খোলা বাজার২৪,রবিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৫: দলের মনোনয়ন বঞ্চিত স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ‘প্রার্থিতা প্রত্যাহারে বাধ্য করার’ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. জাবেদ আলী।
অবশ্য এক্ষেত্রে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে তা স্পষ্ট করেননি এই নির্বাচন কমিশনার।
রোববার পৌর ভোটে মেয়র প্রার্থীদের অনেক ‘বিদ্রোহী’ স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রত্যাহারের ‘হিড়িকের’ মধ্যে একথা বললেন নির্বাচন কমিশনার জাবেদ আলী।
দুপুরে শেরেবাংলা নগরে ইসি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন তিনি।
রোববার বিকাল ৫টায় শেষ হচ্ছে পৌর ভোটে মনোনয়ন প্রত্যাহারের সময়।
আওয়ামী লীগ ও বিএনপির পক্ষ থেকে ‘বিদ্রোহীদের’ সরে যেতে ব্রিফিং করে নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।
স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের চাপ দিচ্ছে-এমন অভিযোগের বিষয়ে জাবেদ আলী বলেন, “আমাদের কাছে সকল দলের প্রার্থী একই রকম। যদি কোনে প্রার্থী কোনো অসুবিধা সম্মুখীন হন, আমাদের কাছে সমস্যা নজরে আনা হয়- তা দূর করতে ব্যবস্থা নেব। তবে প্রার্থীকে লিখিত আবেদন জানাতে হবে।”
নির্বাচনী আইন-বিধি মেনে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
এখন পর্যন্ত কোনো স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছ থেকে এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাননি বলে জানান জাবেদ আলী।
বর্তমান ইসির প্রতি বিএনপি ‘অনাস্থা’ প্রকাশ করলেও সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরির বিষয়ে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করে তিনি বলেন, “সকলের জন্য আমরা কাজ করব। যে কোনো প্রার্থী আমাদের কাছে একই কদর পাবে। সব দল ও প্রার্থী একই ট্রিটমেন্ট পাবে।”
দুই মন্ত্রীর আচরণ বিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়ার বিষয়ে জাবেদ আলী জানান, আচরণ বিধি লংঙ্ঘনের যে কোনো অভিযোগের বিষয়ে সত্যতা যাছাই করে বিচার করা হবে।
“আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে- সে যেই হোক। বিধিতে বলা রয়েছে- কারা প্রচারণায় যেতে পারবেন, কারা পারবেন না। বিদ্যমান কাঠামোতে রিটার্নিং কর্মকর্তারাই আচরণ বিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে।”
তিনি জানান, মাঠে নির্বাহী ও বিচারিক হাকিম থাকছে। নির্বাহী হাকিমরা ‘অন দ্য স্পটে’ সংক্ষিপ্ত বিচারের মাধ্যমে জেল-জরিমানার সুযোগ রয়েছে।
জাবেদ আলী বলেন, “আজকে থেকে নির্বাচনী মাঠে নির্বাহী ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট থাকছে। আমরা আশা করব- প্রার্থী, তাদের কর্মীরা ও রাজনৈতিক দল কেউ যেন আচরণ বিধি ভঙ্গ না করেন। তাহলে ম্যাজিস্ট্রেটের কাজ সহজ হবে।