খোলা বাজার২৪,রবিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৫: সৌদি আরবে পৌর নির্বাচনে প্রথমবার এক নারী কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন। আজ রোববার বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
দেশটিতে গতকাল শনিবার ওই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনকে ঐতিহাসিক হিসেবে বর্ণনা করা হচ্ছে। কারণ, সৌদি আরবের অতিরক্ষণশীল ইসলামি শাসনব্যবস্থায় দেশটির নারীরা এই প্রথম ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, বিজয়ী নারী কাউন্সিলরের নাম সালমা বিনতে হিজাব আল-ওতেইবি। তিনি মক্কা প্রদেশের একটি আসনে জয় পেয়েছেন।
রাজতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থার দেশ সৌদি আরবে কেবল কম ক্ষমতার পৌর পরিষদের সদস্যরাই জনগণের ভোটে নির্বাচিত হন।
বিবিসি জানায়, এবারের পৌর নির্বাচনে ৯৭৮ জন নারী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। আর এই লড়াইয়ে পুরুষ প্রার্থীর সংখ্যা ৫ হাজার ৯৩৮ জন। ভোট গণনা এখনো চলছে।
দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গতকালের নির্বাচনে ভোট দেওয়ার জন্য প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার নারী ভোটার নিবন্ধন করে। অন্যদিকে নিবন্ধিত পুরুষ ভোটার ছিল প্রায় সাড়ে ১৩ লাখ।
দেশটিতে নারীদের প্রথমবারের মতো ভোটার ও প্রার্থী হতে পারার কারণে সৌদি আরবের গতকালের পৌর নির্বাচন বেশ কিছুদিন ধরেই আলোচিত বিষয়। দেশটিতে এখনো নারীদের গাড়িচালনা নিষিদ্ধ।
সৌদি আরবে সব ধরনের প্রকাশ্য স্থানে নারী ও পুরুষের জন্য পৃথক ব্যবস্থা রয়েছে। তাই পৌর নির্বাচনের নারী প্রার্থীরা প্রচারাভিযানের সময় কোনো পুরুষ ভোটারের সঙ্গে সরাসরি দেখা করার সুযোগ পাননি।
ওই নির্বাচনে নিবন্ধিত ভোটারদের মধ্যে নারীর সংখ্যা ১০ শতাংশেরও কম হওয়ায় নারী প্রার্থীদের নির্বাচিত হওয়ার সুযোগও খুব কম।
এ প্রসঙ্গে রিয়াদের মধ্যাঞ্চলের এক নারী প্রতিদ্বন্দ্বী ও শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ আমল বাদরেলদিন আল-সারওয়ারি বলেন, তিনি জয়ের জন্য প্রার্থী হননি। নির্বাচনে অংশগ্রহণই তাঁর বিজয়।
২৮৪ আসনের পৌর পরিষদের এক-তৃতীয়াংশ আসনে পৌরবিষয়ক মন্ত্রণালয় সরাসরি নিয়োগ দিয়ে থাকে। তাই নারীরা আশা করছেন, তাঁরা গুটিকয়েক আসন হলেও পাবেন।
রিয়াদের প্রান্তে অবস্থিত দিরিয়া অঞ্চলের নারী প্রার্থী আলজাজি আল-হোসাইনি ১২ দিন ধরে ইন্টারনেটে নির্বাচনী প্রচারাভিযান চালিয়েছেন। তিনি বলেন, নির্বাচনে অংশ নিতে পেরেই তিনি গর্বিত।