খোলা বাজার২৪, সোমবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৫: আসন্ন পৌর নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীদের ‘বিদ্রোহ’ আপাতত আমলে নিচ্ছে না বিএনপি। তবে পরিস্থিতি বুঝে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে। এক্ষেত্রে বিদ্রোহী প্রার্থীদের স্থানীয় ভাবে নিষ্ক্রিয় করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া বহিষ্কারের মতো সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। দলীয় সূত্রে এমনটা জানা গেছে।
দলীয় প্রতীকে ২৩৩টি পৌর সভায় প্রার্থী দেয় দলটি। এর মধ্যে মনোনয়ন যাচাই বাছায়ের পর ১২ জনের প্রার্থীতা বাতিল করে নির্বাচন কমিশন ।
বাকি ২২১টির মধ্যে ৩টি পৌর সভা জোট শরিকদের জন্য ছেড়ে দেওয়া হয়। এর মধ্যে ১টি জামায়াতকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ১ জন প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নেন । ফলে বিএনপির বৈধ প্রার্থী আছে ২১৭ জন।
পৌর নির্বাচন বিএনপির পরিচালনা কমিটি সূত্রে জানা যায়, বিএনপি আপাতত বিদ্রোহী প্রার্থী নিয়ে ভাবছে না। বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকারের নির্যাতনের ফলে মাঠে প্রার্থী ধরে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। এমন পরিস্থিতে বিদ্রোহ দমনে বহিষ্কারের মতো কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে চায় না দলটি। বিদ্রোহী প্রার্থীদের স্থানীয়ভাবে নিষ্ক্রিয় করার উদ্যোগ নেওয়া হতে পারে।
জানা গেছে, বিদ্রোহী ও বিকল্প প্রার্থী হিসেবে ৪১ জনের মধ্যে ২১ জন্য প্রত্যাহার করে নিয়েছে। এর মধ্যে নাটোর, যশোরের নোয়াপাড়া, সিলেটের হবিগঞ্জ, গাইবান্ধা, মেহেপুরসহ ২১টি পৌর এলাকা থেকে বিদ্রোহীরা মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেয়।
পৌর নির্বাচনের বিএনপির সমন্বয়ক দলের যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, ‘ আমরা বিদ্রোহী প্রার্থী নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছি না। স্থানীয়ভাবে বিদ্রোহীদের নিক্রিয়া করার জন্য বলা হয়েছে। এছাড়া খুব বেশি বিদ্রোহী প্রার্থী নেই।’১৭ থেকে ১৮ জন বিদ্রোহী প্রার্থী আছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে রবিবার সোয়া ১০টায় এক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রার্থীকে অপহরণ করে নেওয়ার অভিযোগ করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন ‘নোয়াখালী জেলার চাটখিলের বিএনপি সমর্থিত পৌর মেয়র প্রার্থী মোস্তফা কামালকে সরকার দলীয় প্রার্থীর লোকেরা অপহরণ করে জোর করে তার কাছ থেকে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের স্বাক্ষর নিয়েছে। অপহরণের পর মোস্তফা কামাল এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। আমার তার সন্ধান দেওয়ার জোর দাবি করছি। একই সাথে প্রার্থীতা প্রত্যাহার পত্র বাতিল করে তার প্রার্থীতা বৈধ ঘোষণা করার দাবি করছি।’
পৌর নির্বাচন মনিটরিং করার জন্য বিএনপি ১০ টি কমিটি করেছে বলে জানা গেছে। কেন্দ্রীয় কমিটির প্রধান সম্বয়ক হলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এছাড়া স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল(অব.) আসম হান্নান শাহ, লে. জেনারেল(অব.) মাহবুবুর রহমান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, এনাম আহমেদ চৌধূরী প্রমুখ এক একটি কমিটির প্রধান করা হয়েছে।
উল্লেখ, ৩০ ডিসেম্বর প্রথমবারের মত দলীয় প্রতীকে পৌর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যার মাধ্যমে দীর্ঘ ৭ বছর পর ভোটের মাঠে নৌকা ও ধানের শীষের লড়াই হতে যাচ্ছে।