খোলা বাজার২৪, সোমবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৫: বিপিএলের শুরু থেকেই চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল ব্যাপারটা। এবার এশিয়া কাপ হবে টি-টোয়েন্টি। সামনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও আছে। কোথায় বিপিএলে খেলে সবার সবার ভালো একটা অনুশীলন হয়ে যাবে তা না, জাতীয় দলের টি-টোয়েন্টি বিশেষজ্ঞরাই পারছেন না নিজেদের মেলে ধরতে!
সাব্বির রহমানের কথাই ধরুন। বরিশাল বুলসের হয়ে লিগ পর্বের ১০ ম্যাচে বলতে গেলে কিছুই করতে পারেননি। সাব্বির যে টুর্নামেন্টটা খেলছেন, বোঝা যাচ্ছিল না সেটাই! অবশেষে যেন নিজেকে খুঁজে পেলেন ‘এলিমেনেটর’ ম্যাচে। ঢাকা ডাইনামাইটসের বিপক্ষে ৩৯ বলে ৪১ রানের ইনিংস দিয়ে প্রত্যাবর্তন। কাল রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে কোয়ালিফাইয়ার ম্যাচে তো নিজের আসল রূপটাই দেখিয়ে দিলেন! ৪৯ বলে ৭৯ রানে বরিশালের জয়ের ভিত গড়ে দেন সাব্বিরই।
গত দুই ম্যাচে তিন নম্বরে ব্যাট করেছেন। ফর্মে ফেরার সেটাকেই বড় কারণ মনে করছেন সাব্বির, ‘টি-টোয়েন্টিতে আমি সব সময় ৩-৪ এ ব্যাট করি। এবার হয়তো ৬-৭-৮ এ ব্যাট করায় আত্মবিশ্বাস পাচ্ছিলাম না। চেয়েছিলাম প্রথম ৬ ওভারে যদি রানটা বাড়াতে পারি, দলের চাপ কমাতে পারি তাহলে আত্মবিশ্বাস আসবে। সেটাই হয়েছে।’
ইনিংসে ৯ বাউন্ডারির সঙ্গে সাব্বিরের ছক্কা দুটি। এর মধ্যে ড্যারেন স্যামিকে মারা ছক্কাটার পর তাঁর উদ্যাপনে ছিল ‘দেখিয়ে দেওয়ার’ একটা ব্যাপার। ম্যাচ শেষের সংবাদ সম্মেলনে খুলে বললেন এমন উদ্যাপনের রহস্য, ‘একজন ব্যাটসম্যানের ফর্ম খারাপ যেতেই পারে। তবে সবাই-ই সেখান থেকে ফিরে আসতে চায় এবং সেটা সবার বোঝা উচিত। আমি কামব্যাক করেছি। দর্শকদের সেটাই দেখিয়েছি-আমিও পারি টি-টোয়েন্টি খেলতে। এখনো ফুরিয়ে যাইনি।’ কিন্তু হঠাৎ দর্শকদের সেটা দেখাতে হলো কেন? এবার যেন বের করে দিলেন ভেতরে জমিয়ে রাখা ক্ষোভটাই, ‘তেমন কিছু না। অনেক সময় মানুষকে বলতে শুনি সাব্বির টি-টোয়েন্টিতে চলে না বা টি-টোয়েন্টির খেলোয়াড় না। কিন্তু আমি মনে করি টি-টোয়েন্টিই আমার খেলা, এটাই আমার ম্যাচ। এটা খেলেই আমি জাতীয় দলে ঢুকেছি। অনেক কিছু পেয়েছি।’
বিপিএলে ফিরে পাওয়া এই আত্মবিশ্বাস সাব্বির কি টেনে নিয়ে যেতে পারবেন জাতীয় দলে