Sun. May 4th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

34খোলা বাজার২৪, সোমবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৫: ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে লড়তে জার্মানির কাছে আরো বেশি সামরিক সাহায্য চেয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তবে দেশটির প্রেসিডেন্ট অ্যাঞ্জেলা মার্কেল সেই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছেন। রোববার জেডডিএফ সংবাদ চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিষয়টি নিয়ে জার্মানির মনোভাব প্রকাশ করেন তিনি। তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি, জার্মানির যতটুকু করার ছিল তার সবটুকুই করা হয়েছে। আর এই মুহূর্তে এ প্রশ্নে নতুন ইস্যু নিয়ে কথা বলার কোনো দরকার নেই।

শনিবার জার্মানির দের স্পিগেল সাময়িকীর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আইএসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জার্মানিকে বড় ধরনের সামরিক ভূমিকা রাখার অনুরোধ জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী অ্যাস্টন কার্টার একটি চিঠি পাঠিয়েছেন।

তবে চিঠিতে নির্দিষ্ট কোনো দাবি জানানো হয়নি এবং যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য মিত্রদের যে ধরনের অনুরোধ জানানো হয়েছে চিঠিটি সে ধরনেরই বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছিল। জার্মানির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র যুক্তরাষ্ট্রের চিঠি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছিলেন, চিঠিতে যা আছে তা বিবেচনা করে দেখা হচ্ছে; তবে বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি।

কার্টারের চিঠির এক সপ্তাহ আগে সিরিয়ায় আইএসবিরোধী লড়াইয়ে অংশ নেওয়ার একটি পরিকল্পনা অনুমোদন করেছিল জার্মান পার্লামেন্ট। প্যারিসে জঙ্গি হামলায় ১৩০ জন নিহত হওয়ার পর ফ্রান্সের আবেদনে সাড়া দিয়ে আইএস বিরোধী অভিযানে ছয়টি টর্নেডো গোয়েন্দা জেট বিমান, ফরাসি বিমানবাহী রণতরী শার্ল দ্য গলকে পাহারা দেওয়ার জন্য একটি ফ্রিগ্রেট, জ্বালানি সরবরাহকারী বিমান ও ১২০০ সেনা পাঠায় জার্মানি।

কিন্তু সিরিয়ায় সরাসরি বিমান হামলা চালানোর কোনো পরিকল্পনা করেনি জার্মানি। বিদেশি মিশনে সেনা পাঠানোর বিষয়ে জার্মানি তৈরি হচ্ছে, দুই বছর ধরেই এমন আভাস পাওয়া যাচ্ছিল। গেল সপ্তাহে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী উরসুলা ফন দের লিয়েন বলেছেন, দৃঢ়ভাবে ভূমিকা পালনের জন্য সম্ভবত জার্মানির আরো বড় সামরিক বাহিনী দরকার।

এই মুহূর্তে জার্মানির তিন হাজারের বেশি সেনা বিদেশে মোতায়েন আছে। সিরিয়া অভিযানে অংশ নেওয়ার মাধ্যমে এই সংখ্যা চার হাজার দুইশতে উন্নীত হবে। মালিতে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযানরত ফরাসি সেনাদের সহায়তার জন্য সেখানে আরো ৬৫০ জন জার্মান সেনা মোতায়েন করতে চান লিয়েন। এছাড়া জার্মানি আইএসের বিরুদ্ধে লড়াইরত ইরাকি কুর্দি বাহিনীকে গেল বছর থেকে অস্ত্র সরবরাহ শুরু করে।