খোলা বাজার২৪, সোমবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৫: সঞ্চালনজনিত সীমাবদ্ধতার কারণে দেশের যেসব এলাকায় জাতীয় গ্রিডের বিদ্যুৎ পৌঁছায়নি, সেসব এলাকায় ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে সৌর বিদ্যুতের ‘মিনি-গ্রিড প্রকল্প’।
সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে বিভিন্ন জায়গায় স্থাপিত হয়েছে বেশকিছু মিনি-গ্রিড প্রকল্প। ব্যবহারকারীরা বলছেন- ২৪ ঘণ্টা জুড়েই মিলছে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ। অন্যদিকে সরকারের পরিকল্পনা- বিদ্যুৎবিহীন এলাকায় সম্প্রসারণ করা হচ্ছে এই প্রকল্প। তবে বিশেষজ্ঞরা মত দিচ্ছেন- মিনি গ্রিডের সফলতা বাড়াতে প্রয়োজন অর্থসহায়তা ও অঞ্চলভিত্তিক পরিকল্পনা।
নরসিংদীর পাশ দিয়ে বয়ে চলা মেঘনা নদীর রায়পুরা প্রান্ত থেকে ৩০ মিনিটের নদীপথ পাড়ি দিলেই দেখা মিলবে- পাড়াতলী গ্রামের। যেখানে এখনো পৌঁছায়নি জাতীয় গ্রিডের বিদ্যুৎ।
কিন্তু না, সেখানকার আঁধার অনেক আগেই কেটে গেছে সৌর বিদ্যুতের হোম সিস্টেমে। তবে, পদ্ধতিগত নানা সীমাবদ্ধতায় ঘরের আলো ছাড়া উৎপাদনশীল খাতে ব্যবহার করা যেতো না সেই সৌর বিদ্যুৎ।
সুখবর হলো- প্রায় বছরখানেক আগে সরকারি মালিকানার আর্থিক প্রতিষ্ঠান-ইডকলের তত্ত্বাবধানে অংশীদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পাড়াতলীতে চালু হয়েছে ১৪১ কি. ও. ক্ষমতার সৌর বিদ্যুতের মিনি গ্রিড প্রকল্প। যা বদলে দিয়েছে সেখানকার পুরো জীবনযাত্রা।
৪৪০ ভোল্টের আট কিমি দীর্ঘ লাইনে বিদ্যুৎ পাচ্ছেন ৬ শতাধিক পরিবার; প্রতিদিনই এর চাহিদা বাড়ছে বলে জানালেন সংশ্লিষ্টরা। এদিকে- সরকার মিনিগ্রিড সম্প্রসারণে নীতিগতভাবে এগোচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
তবে, বিশেষজ্ঞরা তাগিদ দিচ্ছেন- এমন পদ্ধতিতে এলাকা চিহ্নিত করে অগ্রসর হতে পারলে দ্রুতই সফলতা মিলবে। ইডকল বলছে- ২০১৮ সালের মধ্যে ১৭ টি মিনি-গ্রিড স্থাপনের লক্ষ্যমাত্রা তাদের।