খোলা বাজার২৪, সোমবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৫: ভারতের বিহার রাজ্যের রতনপুর গ্রাম। রাজ্যটির রাজধানী পাটনা থেকে প্রায় ৭৫ কিলোমিটার দূরের ভোজপুর জেলার এই গ্রামের মেয়েদের নাকি বিয়ে বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে!
যখনই বরযাত্রী গ্রামে ঢোকে, কিছু দূর এগোতে না এগোতেই পড়িমরি করে নিজের প্রাণ বাঁচিয়ে পালায়। বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রেই এই ঘটনা ঘটেছে। এখন তাই ওই গ্রামে ভয়ে কেউ আর বিয়ে করতে যেতেও রাজি হচ্ছে না। বিপদে পড়েছেন রতনপুরের মেয়েদের মা-বাবারাও।
এখন প্রশ্ন থেকেই যায়, কেন বরযাত্রীরা পালিয়ে যাচ্ছেন? কারণ এক দল হামলাকারীর তা-ব। না, কোনও ডাকাত বা দুষ্কৃতী দল নয়। এই হামলার নেপথ্যে এক দল বাঁদর। শুনে আশ্চর্য লাগলেও, রতনপুরের বাসিন্দারা তাই-ই বলছেন।
কয়েক দিন আগের ঘটনা। পাত্র তাঁর আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ে রতনপুরে বিয়ে করতে আসছিলেন। ব্যান্ডের বাজনার তালে তখন সবাই নাচে মশগুল। গ্রামে রাস্তা ধরে কিছু দূর এগোতেই বাঁদরের দলটি ঘিরে ধরে। প্রথমে কেউ তোয়াক্কাই করেননি বিষয়টায়। লাঠি-ইট নিয়ে তাড়ােেনার চেষ্টা করে তাদের। কিন্তু বাঁদররাও যে কম যায় না, সেটা হাড়ে হাড়ে টের পান তাঁরা কিছু ক্ষণের মধ্যেই।
আরও বাঁদর এসে এ বার পাল্টা আক্রমণ করে বসে বরযাত্রীদের। তাঁদের উপর হামলা চালায়। অনেকেকই কামড়ে, আঁচড়ে, টেনে ফেলে দেয়। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে বাকি লোকজনেরা পগারপার। এই হামলাকারীদের হাত থেকে বাঁচতে রাতের অন্ধকারে গা ঢাকা দেন তাঁরা। এই ধরনের ঘটনা একের পর এক ঘটতে থাকায়, চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন রতনপুরের বাসিন্দারাও। আর ইতিমধ্যেই এই হামলাকারীদের কাহিনি বহুদূর রটে যাওয়ায়, পাত্ররাও ওই গ্রামে বিয়ে করতে রাজি হচ্ছেন না। বিয়ে করতে গিয়ে শেষে বাঁদরের খপ্পরে কে-ই বা পড়তে চায়!-আনন্দবাজার।