Sat. May 3rd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

45খোলা বাজার২৪, সোমবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৫: প্রাদিউমান কুমার মাহানান্দিয়া ও চারলট ভন সেদভিনের ভালবাসা রুপকথাকেও হার মানায়। কিন্তু এটি কোন গল্প নয়, সত্যিকারের ভালবাসার কাহিনী। যেখানে মানুষ নিত্যদিন ভালবাসা গড়ার ও ভাঙ্গার প্রতিযোগিতায় নেমেছে সেখানে তাদের ভালবাসা হয়ত অনেকের নিকট দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।প্রদিউমান উড়িষ্যার একটি গরীব পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তারা কাপড় বুনে নিজেদের সংসার পরিচালনা করতেন।

প্রদিউমান তার দরিদ্রতাকে কখনও তার স্বপ্নের মাঝে আসতে দেননি। ১৯৭১ সালে তিনি দিল্লীতে এসে আর্ট কলেজে ভর্তি হন এবং সে একজন বিখ্যাত চিত্রশিল্পী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেন। তার জনপ্রিয়তা সুইডেন পর্যন্ত ছড়িয়ে যায়। তখন ১৯ বছর বয়সী চারলট ভন সেদভিন ভারতে চলে আসেন তার নিকট থেকে একটি চিত্র আর্ট করানোর জন্য। তার চিত্র আঁকতে যেয়ে প্রদিউমান তার প্রেমে পড়ে যান এবং চারলট তার চিত্রকর্মের প্রেমে তো আগে থেকে ভাসতে ছিলেন, কিন্তু দেখা হবার পর প্রদিউমানের প্রতিও তিনি দুর্বল হয়ে যান।

তারপর তারা তাদের ঐতিহ্যগত উপায়ে বিবাহ সম্পাদন করেন। কিন্তু তারপর চারলটের সুইডেনে চলে যেতে হয়। সে প্রদিউমানকে তার সাথে যাবার জন্য বলেন। কিন্তু প্রদিউমানের পড়াশোনা শেষ না হবার কারণে সে সুইডেন যান নি এবং তিনি ওয়াদা করেন যে, সে নিজে তার প্রিয়তমা স্ত্রীর নিকট যাবে।

তারপর প্রদিউমান সিদ্ধান্ত নেন যে, সে তার স্ত্রীর নিকট সাইকেলে চড়ে হাজির হবেন। যা কয়েক দশক পূর্বে সম্ভব ছিল। সে পাঁচ মাস পর্যন্ত সাইকেল চালিয়ে তার ভালবাসার নিকট পৌঁছেন। সুইডেনের কর্মকর্তারা তার এই কাজে আশ্চর্য হয়ে গেছেন। বর্তমানে প্রদিউমান তার দুই সন্তানের সাথে সুইডেনে বসবাস করেন।

তিনি ভারতের ঙফরুধ সাংস্কৃতিক রাষ্ট্রদূত হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তাদের বিবাহের ৪০ বছর পূর্তি হয়েছে এই বছর। তাদের জীবন কাহিনী নিয়ে বলিউডে সিনেমা তৈরি করা হবে বলে চিন্তা করা হচ্ছে।–সূত্র: ইন্ডিয়া টাইম্স। সম্পাদনা: ফাতেমা তুজ জোহুরা।