খোলা বাজার২৪, সোমবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৫: পাকিস্তানের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
সোমবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক সাংবাদিকদের বলেন, আজ থেকে (১৪ ডিসেম্বর) পাকিস্তানের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব সম্পর্ক ছিন্ন করা হলো। পাকিস্তান যদি একাত্তরে বাংলাদেশে গণহত্যার দায় স্বীকার করে নিঃশর্ত ক্ষমা ও তাদের ১৯৫ সেনা সদস্যের বিচার করে তবেই পুনরায় সম্পর্কের বিষয়টি চিন্তা করা হবে।
উপাচার্য বলেন, ‘এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক যে শাস্তির দাবি- তা বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের দাবি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের দাবি ও শহীদ পরিবারে দাবি।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা মনে করি, বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করার সময় এসেছে। কারণ তারা গণহত্যা চালিয়েছে একাত্তরে, আবার সেই গণহত্যাকে অস্বীকার করছে। এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক থাক- তা আমরা চাই না।
সম্প্রতি মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী ও জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকর করা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে কড়া ভাষায় বিবৃতি দেয় পাকিস্তান। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে হস্তক্ষেপ করায় ২৩ নভেম্বর পাকিস্তানের হাইকমিশনার সুজা আলমকে তলব করে এর কড়া প্রতিবাদ জানায় বাংলাদেশ। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৩০ নভেম্বর পাকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারকে ডেকে গণহত্যার দায় সম্পূর্ণ অস্বীকার করে দেশটি।
এরপর থেকেই মূলত পাকিস্তানের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবি উঠে দেশের নানা মহল থেকে। এ পরিপ্রেক্ষিতে গত ১ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত বিজয় মিছিল শেষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক ঘোষণা দেন, পাকিস্তানের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর কোনো সম্পর্ক থাকবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো ছাত্র বা শিক্ষক প্রতিনিধি আগামী সময়ে পাকিস্তানে যাবেন না।