খোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৫: রাজধানীর শ্যামপুরে ম্যানহোলে পড়ে শিশু সাইফুল ইসলাম নীরবের (৫) মৃত্যুর ঘটনায় কেন তার পরিবারকে ৩০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এ ছাড়া এ ঘটনায় গ্রেপ্তার শাহরিয়ার আহমেদ শুক্কুর মিয়াকে দুই দিনের রিমান্ড দিয়েছেন মহানগর হাকিম আদালত।
চিলড্রেন চ্যারিটি বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের করা রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ মঙ্গলবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। একই সঙ্গে রাজধানীতে যতগুলো ঢাকনাযুক্ত এবং ঢাকনাবিহীন ম্যানহোল, সুড়ঙ্গ, গর্ত, কূপ, স্যুয়ারেজ লাইন রয়েছে তার লোকেশন অনুসারে তালিকা তিন মাসের মধ্যে আদালতে দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
চিলড্রেন চ্যারিটি বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের পক্ষে ব্যারিস্টার আবদুল হালিম গত রবিবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় শিশু নীরবের মৃত্যুর ঘটনায় ৩০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশনা চেয়ে রিট করেন। ওই রিট আবেদনে, যে স্থানে পড়ে নীরব মারা গেছে, সেই স্থানটি সিটি করপোরেশন নাকি ওয়াসার- তা জানাতেও নির্দেশনা চাওয়া হয়। এ ছাড়া ঢাকা শহরে কতগুলো ঢাকনা এবং ঢাকনাবিহীন ম্যানহোল রয়েছে তার তালিকা আদালতে তলবের নির্দেশনা চাওয়া হয়। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানার ওসি আইনগত কী ব্যবস্থা নিয়েছেন- তা জানতে চেয়েও নির্দেশনা জারির আবেদন জানানো হয়।
এ ঘটনায় গত রবিবার রাতে গ্রেপ্তার শাহরিয়ার আহমেদ শুক্কুর মিয়াকে একইদিন ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে রিমান্ড চাইলে ঢাকা মহানগর হাকিম রাশেদ তালুকদার শুনানি শেষে দুই দিনের রিমান্ড দেন। কদমতলী থানার পুলিশ পরিদর্শক আরশেদুল হক ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে সাত দিন জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি চান।
আবেদনে বলা হয়, আসামি শ্যামপুর শিল্প মালিক সমিতির স্টাফ। ম্যানহোলের ঢাকনা তদারকির দায়িত্ব ছিল তার। প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের জন্য তাকে রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন। এ সময় আসামির রিমান্ড বাতিল করে জামিন চাওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, গত ১০ ডিসেম্বর মঙ্গলবার বিকেলে খেলতে গিয়ে কদমতলী থানার পালপাড়া বরইতলা এলাকায় জাগরণী ক্লাবের সামনের খোলা স্যুয়ারেজের ড্রেনে পড়ে যায় সাড়ে পাঁচ বছরের শিশু নীরব। তার খেলার সঙ্গী হৃদয় শিশু নীরবের মা নাজমা বেগমকে বলে, রাতুল নামের অপর এক খেলার সঙ্গী নীরবকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে স্যুয়ারেজের স্লুইসগেইট থেকে রাত সাড়ে ৮টার দিকে নীরবের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই গেইট দিয়ে স্যুয়ারেজের পানি বুড়িগঙ্গায় পড়ে।